ভোট-পর্বে নিয়োগ কেন, ক্ষুব্ধ বিজেপি

সেনাপ্রধানের পর এ বার আপত্তি উঠল লোকপাল নিয়োগেও। নির্বাচন চলাকালীন এই ধাঁচের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১৬
Share:

সেনাপ্রধানের পর এ বার আপত্তি উঠল লোকপাল নিয়োগেও। নির্বাচন চলাকালীন এই ধাঁচের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ বন্ধ রাখতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা পঙ্কজ পচৌরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভাঙার অভিযোগ জানিয়েও কমিশনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি। দলের অভিযোগ, নির্বাচন চলা সত্ত্বেও সরকারের কাজের সাফল্য সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে তুলে ধরে আচরণবিধি ভেঙেছেন পচৌরী।

Advertisement

দেশে ইতিমধ্যেই পাঁচ দফা ভোট হয়ে গিয়েছে। ফল বেরোতে বাকি মাত্র ২৬ দিন। তার আগে যে ভাবে তড়িঘড়ি সরকার লোকপাল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছে, আজ তাঁর সমালোচনায় করেছেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা অরুণ জেটলি। বিজেপি সূত্রের দাবি, লোকপাল নিয়োগ নিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বৈঠক ডাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। জেটলির দাবি, “ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হোক।”

লোকপাল নিয়োগ কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকার কথা লোকসভার বিরোধী নেত্রী সুষমা স্বরাজের। কিন্তু আজ নিজের ব্লগে জেটলি দলের মনোভাব কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, দল এই সময়ে লোকপালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ মেনে নেবে না। ঘনিষ্ঠ মহলে বিজেপি নেতারা জানিয়েছেন, লোকপাল বাছাইয়ের ওই বৈঠকে কোনও ভাবেই সামিল হবেন না সুষমা। জেটলির অভিযোগ, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকবে না বুঝেই তড়িঘড়ি এই সব পদে নিজেদের লোক বসিয়ে যেতে চাইছে। জেটলির কথায়, “নির্বাচনের মাঝে এ ভাবে লোকপাল নিয়োগের অর্থ শুরুতেই লোকপালের মতো সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে দেওয়া। এটা রাজনৈতিক ভাবে অনুচিত কাজ। এতে নির্বাচনী আচরণ বিধিও ভঙ্গ করা হবে।”

Advertisement

কিছু দিন শূন্য থাকা নৌবাহিনীর প্রধান পদে গত সপ্তাহেই রবিন কে ধবনকে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, নৌবাহিনীর পরে এ বার সেনাবাহিনীর প্রধানের পদেও নিয়োগ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই অবসর নিতে চলেছেন বর্তমান সেনাপ্রধান বিক্রম সিংহ। বিজেপির দাবি, কংগ্রেস ক্ষমতা হারানোর আগে সেনাপ্রধান পদেও নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তা আটকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চেয়েছে বিজেপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন