আন্তরিক। মোদী ও ইয়ং। ছবি: পিটিআই
ভাইব্র্যান্ট গুজরাত-এর মঞ্চ থেকেই ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বাহবা দিলেন বিশ্বব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম। জানালেন, লগ্নিকারীদের কাছে শুধু যে গুজরাতই পুঁজি ঢালার পক্ষে আদর্শ জায়গা, তা নয়। সার্বিক ভাবে ভারতই তাঁদের পক্ষে আকর্ষণীয়। যার মূল কারণ সংস্কারে জোয়ার আনা এবং সকলের জন্য উন্নয়নের লক্ষ্যে মোদীর একটির পর একটি পদক্ষেপ। এই সঙ্গেই একটি ব্যাপারে অবশ্য সাবধান করে দিয়েছেন কিম। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, জাতপাতের ধুঁয়ো তুলে বিভেদ তৈরির প্রবণতা বাড়লে কিন্তু এই সাফল্যে ছেদ পড়তে দেরি হবে না।
রবিবার কিম বলেন, “বিশ্ব অর্থনীতি এখন সাধারণ ভাবে মাঝারি মানের। সেখানে ভারত এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। বাদবাকি দেশগুলির বেশির ভাগেরই আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা এখন তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। সেখানে ২০১৫ সালেই ভারতে বৃদ্ধির হার ৬.৪ শতাংশ ছুঁতে পারে। পরের বছর তা আরও বাড়ার কথা।” এখানেই জাতপাতের বিষয়টি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। কিম জানান, ভারতীয় সমাজব্যবস্থায় জাতপাতের নামে বৈষম্য তৈরি করে মানুষকে উন্নয়ন থেকে দূরে সরিয়ে রাখার একটি প্রবণতা রয়েছে। সরকারি পরিষেবা, চাকরি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে এই বিভেদ বাড়লে আর্থিক সমৃদ্ধি সহজেই মুছে যেতে পারে। তবে সকলের কাছে, বিশেষত তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে নরেন্দ্র মোদী যে ঠিক পথেই এগোচ্ছেন, তা এ দিন কবুল করেন জিম। মোদীর যে-সমস্ত উদ্যোগকে তিনি শিরোপা দিয়েছেন, তার মধ্যে রয়েছে:
• নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলিকে আরও দক্ষ করে তোলা
• সরকারি তহবিল সঠিক ভাবে কাজে লাগানো
• ডিজেলে ভর্তুকি তুলে নেওয়া
• পণ্য-পরিষেবা কর চালুর প্রয়াস
জিম প্রসঙ্গত জানান, সকলকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন ও তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ব্যাপারে ভারত সরকার তৎপর। বিশ্বব্যাঙ্কের লক্ষ্যও এ ধরনের উন্নয়নমূলক প্রকল্পেই সামিল হওয়া ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ঋণ দেওয়া। মোদীর দূরদৃষ্টির প্রশংসা করে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভারত তাঁর নেতৃত্বে দারিদ্র কমিয়ে আনতে নিশ্চয়ই আরও সফল হবে। জিমের ধারণা, কেন্দ্রীয় সরকার নিজস্ব নীতিতে অটল থেকে এগিয়ে যেতে পারলে শিল্প ও বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটবে। ফলে কর্মসংস্থান তৈরি করে, দারিদ্র কমানোয় সামিল হয়ে শিল্পোদ্যোগীরাও বাড়তি লাভের মুখ দেখতে পারবেন।