দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্ট হিসাবে কাজ করা যাবে না। ডিজিসিএ-এর এমনই এক সার্কুলারের ভিত্তিতে এ বার ১৩০ জন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টকে ওই কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এয়ার ইন্ডিয়া। আর তাতেই অসন্তোষ ছড়িয়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানকর্মীদের মধ্যে।
কী সেই সার্কুলার?
২০১৪-য় ডিজিসিএ-র ওই সার্কুলারে বলা হয়েছিল, এক জন এয়ার হোস্টেজের বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) ১৮-২২-এর মধ্যে হলে তবেই তাঁকে ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টের কাজে যোগ্য বলে মনে করা হবে। বিএমআই যদি ২২-২৭ হয় তা হলে তাঁকে ‘ওভারওয়েট’-এর তালিকায় ফেলা হবে। আর যদি বিএমআই ২৭-এর উপরে হয় তাঁকে ‘মোটা’ বলে গণ্য করা হবে। পুরুষ কর্মীদের ক্ষেত্রে সেটা ১৮-২৫-এর মধ্যে হতে হবে। তার বেশি হলে এই কাজে অনুপযুক্ত বলে মনে করা হবে।
এই সার্কুলার জারি হওয়ার পরই এয়ার ইন্ডিয়া সাড়ে ৩ হাজার বিমানকর্মীর বিএমআই টেস্ট করে। তাতে দেখা যায় ৬০০ জন ওভারওয়েট বা মোটা। তাঁদের সাময়িক ভাবে আনফিট বলে ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি, তাঁদের ৬ মাসের সময় দেওয়া হয় বিএমআই ঠিক করার জন্য। ছ’মাস পর ওই ৬০০ জনকে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাঁদের মধ্যে ১৩০ জন সেই পরীক্ষায় ফেল করে। এঁদের গ্রাউন্ডে কাজের জন্য নিযুক্ত করে এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
কেন এই সিদ্ধান্ত ডিজিসিএ-র?
এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শরীর ফিট থাকলে যে কোনও অবস্থার মোকাবিলা করা সম্ভব। সে কারণেই এই সিদ্ধান্ত।
বিমান কর্মীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন?
তাঁরা জানিয়েছেন, এ ধরনের সার্কুলারের কোনও ভিত্তি নেই। এর পিছনে আসল যুক্তি হল ছাঁটাই।