ভোটকেন্দ্রে ঢুকে সিদ্দেক আহমেদ তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এআইইউডিএফ কর্মী পিন্টু চক্রবর্তী। তাঁকে আজ করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তা ছাড়া সিদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়েছেন বারইগ্রাম কেন্দ্রের এআইইউডিএফ প্রার্থী।
বারইগ্রাম জেলা পরিষদ উপ-নির্বাচনে গত কাল কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত হিংসা, দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। অভিযোগ, সিদ্দেক একটি ভোটকেন্দ্রে ঢুকে পিন্টুবাবুকে মারধর করেন। আহত ওই যুবককে বারইগ্রাম হাসপাতাল থেকে গত রাতে করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পিন্টুবাবু বলেন, ‘‘মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোনও ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। কিন্তু উনি আমাকে প্রচণ্ড মারধর করেন। গত কাল হঠাৎ আমাকে ডাকেন। ভোটকেন্দ্রের মধ্যেই মারধর করেন।’’ বারইগ্রাম জেলা পরিষদ আসনের প্রার্থী আব্দুল ছত্তারও সিদ্দেকের বিরুদ্ধে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘উনি ১০-১২টি বুথ দখল করেছেন। তবে ভোটে জিতব আমিই।’’ গত কাল ৭৩ নম্বর কাটারগুল কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারকে মারধর করার পাশাপাশি ব্যালট ছিনতাই হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সিদ্দেক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে বুথ দখল বা এআইইউডিএফ কর্মীকে মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা সব সময়ই শাসকদলের বিপক্ষে আওয়াজ তোলে। অযথা আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে।’’