রথ-বিতর্কে শঙ্করাচার্যের পাশে পুরীর রাজা

জগন্নাথের রথে গিয়ে শঙ্করাচার্যের পুজো করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তথা পুরী শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর আরোপিত বিধিনিষেধের জেরে উদ্ভুত বিতর্কে শঙ্করাচার্যের পাশে দাঁড়ালেন পুরীর রাজা। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার। এ বার জগন্নাথের রথে সাধারণ ভক্তদের ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রথে ভক্তদের ভিড় নিয়ে প্রথম আপত্তি তোলেন পুরীর শঙ্করাচার্যই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৪ ০৪:১৮
Share:

জগন্নাথের রথে গিয়ে শঙ্করাচার্যের পুজো করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তথা পুরী শ্রী জগন্নাথ টেম্পল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর আরোপিত বিধিনিষেধের জেরে উদ্ভুত বিতর্কে শঙ্করাচার্যের পাশে দাঁড়ালেন পুরীর রাজা। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সঙ্ঘ পরিবার।

Advertisement

এ বার জগন্নাথের রথে সাধারণ ভক্তদের ওঠা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রথে ভক্তদের ভিড় নিয়ে প্রথম আপত্তি তোলেন পুরীর শঙ্করাচার্যই। তারপর রাজ্য সরকার জগন্নাথ মন্দিরের পুরোহিত সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর ঠিক করে, এ বার থেকে রথে কোনও সাধারণ ভক্তই উঠতে পারবেন না। ওড়িশা হাইকোর্টও সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে রায় দেয়। এর পরে মন্দির প্রশাসন শঙ্করাচার্যের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। আর বিতর্ক তা নিয়েই।

নিয়ম অনুযায়ী শঙ্করাচার্যের সঙ্গে সব সময়েই সাতজন শিষ্য থাকেন। এতদিন এঁদের নিয়েই রথে উঠে প্রথম পুজো করতেন শঙ্করাচার্য। এ বার তিনি ঠিক করেছিলেন দুই শিষ্যকে নিয়ে রথে উঠবেন। কিন্তু মন্দির প্রশাসন তাঁকে চিঠি দিয়ে জানান, তিনি কোনও শিষ্য নিয়ে রথে উঠতে পারবেন না। একা উঠেই তাঁকে পুজো করতে হবে। ক্ষুব্ধ শঙ্করাচার্য প্রতিবাদে কাল রথেই ওঠেননি। আজ পুরীর রাজ্য দিব্যসিংহ দেব বলেন, “রথে জগন্নাথের প্রথম পুজো করবেন শঙ্করাচার্যই। এটাই প্রথা, এটাই ঐতিহ্য। তারপরে আমি রথের সামনের রাস্তা ঝাঁট দেব। রথ চলতে শুরু করবে।” তাঁর দাবি, রাজ্য সরকার এবং মন্দির প্রশাসন বিতর্কের নিষ্পত্তি করুক। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতৃত্বের দাবি, সরকার-মন্দির প্রশাসনের কর্তারা শঙ্করাচার্যের কাছে ক্ষমা চান। তা না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে তারা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন