রাধাকৃষ্ণণ ব্যাজ।— নিজস্ব চিত্র।
শিক্ষক দিবসে সরকারের ছাপা ‘রাধাকৃষ্ণণ ব্যাজ’ কলেজ ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিক্রি করতে চলেছে অসম সরকার। উচ্চশিক্ষা দফতরের মতে, এই ভাবে শিক্ষকদের প্রতীকী গুরুদক্ষিণা দেবে ছাত্রছাত্রীরা। ‘ব্যাজ’ বলা হলেও আদতে পোস্টকার্ডের আকারের এই কার্ডে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের মুখ থাকছে, থাকছে দু’টি লাল ফুলের তোড়া। নীচে লেখা ‘আই রেসপেক্ট অল টিচার্স’।
সাধারণত শিক্ষক দিবসে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গ্রিটিংস কার্ড ও ফুল দেয়। এই প্রথম বার এমন প্রতীকী কার্ড সরকারি ভাবে বিক্রির ব্যবস্থা করা হল রাজ্যে। প্রতিটি ‘রাধাকৃষ্ণণ ব্যাজ’-এর দাম ধরা হয়েছে ১০ টাকা। রাজ্যে সাতটি সরকারি ও ৩২৩টি সরকারি সহায়তা প্রাপ্ত কলেজ রয়েছে। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা অধিকর্তা ফণীন্দ্র জিডুং জানান, ‘‘আমরা চাই, এ বারের শিক্ষক দিবসে এই ব্যাজ কিনে ছাত্রছাত্রীরা বুকে লাগাক। প্রতিটি ব্যাজ বাবদ মেলা ১০ টাকা জাতীয় শিক্ষক কল্যাণ তহবিলে জমা পড়বে। যা শিক্ষকদের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের সামান্য গুরুদক্ষিণা হিসেবেই আমরা দেখছি।’’ তবে একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও ছাত্রছাত্রীকে এই ব্যাজ কেনার জন্য জোর করা হবে না। যদিও তাঁদের আশা, ছাত্রছাত্রীরা সাগ্রহেই এই ব্যাজ কিনবে। ফণীন্দ্রবাবু জানান, এ বছর ২৭টি জেলায় বিতরণ করার জন্য আড়াই লক্ষ কার্ড ছাপানো হয়েছে। প্রতি জেলায় একটি কলেজ থেকে ব্যাজগুলি বিতরণ করা হচ্ছে। কলেজগুলির ছাত্র সংখ্যার ভিত্তিতে কার্ড বিতরণ করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, দিসপুর থেকে সব কলেজে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, শিক্ষক দিবসে সব কলেজে কোনও একজন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ করে তাঁকে দিয়েই বক্তৃতা দেওয়াতে হবে। বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষকদের সম্মান জানাতে হবে। শিক্ষক সম্পর্কিত প্রবন্ধ রচনার একটি প্রতিযোগিতাও আয়োজন করতেও বলা হয়েছে। অংশ নেবেন কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই। কিন্তু যাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এই উদ্যোগ, সেই অসম কলেজ শিক্ষক সংগঠনই বলছে, সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে টাকা না নিলেই ভাল হত। সম্মান তো কেনা যায় না। তাদের বিনামূল্যে ব্যাজটি দিলেই সকলে খুশিমনে পরত। সংগঠনের মতে, সত্যি যদি সরকার শিক্ষকদের মঙ্গল চায়, তবে তাঁদের দাবিগুলি পূরণ করুক দিসপুর।