ভারতীয় মৎস্যজীবীরা তাঁর দেশের চৌহদ্দিতে ঢুকে পড়লে তাঁদের গুলি করা হবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। আজ সংসদে সেই বিতর্কিত মন্তব্যের জবাব দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সুষমা জানিয়েছেন, গোলাগুলি চালিয়ে এই ধরনের সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফলে দু’দেশকে এর মানবিক সমাধান বার করতে হবে। প্রযুক্তি দিয়ে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।
আগামী শুক্রবার, ১৩ মার্চ শ্রীলঙ্কা সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২৮ বছর পরে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীলঙ্কার মাটিতে পা রাখছেন। তার মধ্যেই মৎস্যজীবীদের নিয়ে গত শনিবার এই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন বিক্রমসিঙ্ঘে। চেন্নাইয়ের একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কেউ যদি আমার ঘরে জোর করে ঢুকতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমি গুলি চালাতে পারি। আর তাতে যদি কেউ মারাও যায়, আইন আমাকে সেই অনুমতিটা দেয়।” ভারতীয় মৎস্যজীবীদের শ্রীলঙ্কার জলে ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করেই এমন কথা বলেছিলেন বিক্রমসিঙ্ঘে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আজ সুষমা বলেছেন, “আমরাও গোলাগুলির সাহায্য নিলে দুই দেশ খালি গুলিই করতে থাকবে। কারণ, আমাদের মৎস্যজীবীরাই তো শুধু ও দেশে ঢুকে পড়ে না। ওদের মৎস্যজীবীরাও আমাদের জলসীমায় চলে আসে। এই সমস্যার এমন এক অভ্যন্তরীণ সমাধান বার করতে হবে যেটা মানবিক।”
বিক্রমসিঙ্ঘের মন্তব্য নিয়ে আবার মোদী সরকারকে আজ একহাত নিয়েছেন ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধি। তাঁর বক্তব্য, “বিক্রমসিঙ্ঘের মন্তব্য মোদী সরকারের মুখে একটা থাপ্পড়ের সমান।” তবে আজ সংসদে সুষমা স্বরাজ যা বলেছেন, তা অবশ্য সমর্থন করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের পক্ষে সব সময় এটা বোঝা সম্ভব নয় যে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে ঢুকে পড়েছেন। করুণানিধি আজ বলেছেন, “মৎস্যজীবীরা নিজেদের রুজির টানে সমুদ্রে পাড়ি দেন। তাঁদের জোর করে ঘরে ঢুকে পড়া বা চোরের তকমা দেওয়াটা একেবারেই অনুচিত।” ডিএমকে প্রধান জানিয়েছেন, তিনি চান মোদী তাঁর সফরে বিষয়টি নিয়ে সরব হোন।