শিলংয়ে ফের বন্ধ হচ্ছে অ্যালায়েন্সের বিমান

যোরহাট, লখিমপুর, তেজপুরের পর এ বার এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান তালিকা থেকে বাদ পড়ছে শিলংয়ের উমরয় বিমানবন্দর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১ জুন থেকে কলকাতা-শিলং উড়ান বন্ধের নোটিস পাঠিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার অধীনস্থ অ্যালায়েন্স এয়ার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৪ ০২:৫৪
Share:

যোরহাট, লখিমপুর, তেজপুরের পর এ বার এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ান তালিকা থেকে বাদ পড়ছে শিলংয়ের উমরয় বিমানবন্দর। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১ জুন থেকে কলকাতা-শিলং উড়ান বন্ধের নোটিস পাঠিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার অধীনস্থ অ্যালায়েন্স এয়ার।

Advertisement

দীর্ঘ ব্যবধানের পর গত বছর জুন মাসে কলকাতা-শিলংয়ের মধ্যে উড়ান চালু করে অ্যালায়েন্স। মঙ্গল এবং শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচ দিন চলত এটিআর বিমান। যাত্রীদের ভিড়ও ছিল। আগামী জুন মাসের জন্য অনেকে ওই উড়ানের টিকিটও কেটে রেখেছিলেন।

উমরয় বিমানবন্দর তথা রাজ্য পরিবহণ দফতরের কাছে গতকাল একটি চিঠি পাঠিয়ে অ্যালায়েন্স এয়ার জানিয়েছে, পরবর্তী নোটিস না-আসা পর্যন্ত ১ জুন থেকে ওই পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে। কিন্তু, যে সব যাত্রী আগেই টিকিট কেটে রেখেছেন, তাঁদের কী হবে তা নিয়ে কিছু জানানো হয়নি।

Advertisement

পরিবহন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্বে বিমান পরিষেবার জন্য উত্তর-পূর্ব কাউন্সিল যে ‘ভায়াবিলিটি গ্যাপ ফান্ডিং’ (সংক্ষেপে, ভিজিএফ) দেয়, সেই টাকা নিয়মিত না-পাওয়ার কারণেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই কারণ দেখিয়ে অসমের যোরহাট, লখিমপুর, তেজপুর থেকেও উড়ান পরিষেবা বাতিল করে এয়ার ইন্ডিয়া। গত বছর জানুয়ারি মাসে শিলংয়েও পরিষেবা বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় অসমারিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশে ফের জুন মাসে তা চালু করা হয়। তবে, ওই বিমান সংস্থাকে অগস্ট মাস পর্যন্ত পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে উত্তর-পূর্ব কাউন্সিল। বকেয়া টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে কাউন্সিল।

অসমের যোরহাট, তেজপুর, লখিমপুর থেকে অফিস এবং অন্যান্য পরিকাঠামো সরিয়ে নিতে চলেছে এয়ার ইন্ডিয়া। দেড় বছর ধরে উড়ান বন্ধ থাকলেও, লখিমপুর ও অরুণাচলের রাজধানী ইটানগরের বাসিন্দারা ফের পরিষেবা শুরুর আশায় ছিলেন। কিন্তু, এয়ার ইন্ডিয়া দফতর গুটিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করায় তাঁরা হতাশ। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাছে ভর্তুকি দিয়ে বিমান পরিষেবা চালানোর আবেদন জানান শহরবাসী। যোরহাট ও ডিব্রুগড়ে বেসরকারি সংস্থার বিমান চলছে। ডিব্রুগড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা রয়েছে। লখিমপুরের লীলাবাড়ি, তেজপুরের সালোনিবাড়িতে কোনও উড়ানই চলাচল করে না।

উজানি অসমের চা শিল্প এবং তেল-গ্যাস শিল্পের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ী ও কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্য, যোরহাট থেকে অনেকেই বিমানে যাতায়াত করেন। চা বাগান, ওএনজিসি ও অসম-আরাকান উপত্যকার সদর দফতর, তেল পাম্পিং স্টেশন, সেনা ছাউনি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় যোরহাট-তেজপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা ফের শুরু করা উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন