স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুরহস্য নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর।
শনিবার সাফ জানালেন, তিনিও সুনন্দার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে চান। দিল্লি পুলিশের রিপোর্টের জন্য অন্যদের মতো অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন শশী তারুর নিজেও। এ দিন পরে একই সুরে কথা বলেছেন সুনন্দা-পুত্র শিব পুষ্করও।
স্ত্রী সুনন্দার মৃত্যুর ন’মাস পরেও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না শশী তারুরের। গত কালই সুনন্দার মৃত্যুর তদন্তকারী এইমসের চিকিৎসক দল জানিয়েছিল, তারুর-পত্নীর মৃত্যু হয়েছে বিষক্রিয়ায়। রিপোর্ট দেখে শুক্রবারই সুনন্দা পুষ্করের ময়নাতদন্তের নতুন রিপোর্ট অসম্পূর্ণ বলে দাবি করে দিল্লি পুলিশ।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার বি এস বাসির মতে, অনুমানের ভিত্তিতে একটি জটিল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রিপোর্টে কোনও বস্তুর নাম নেই, যার প্রভাবে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, সুনন্দার মৃত্যু হয়েছিল বিষক্রিয়ায়। তাই তিনি জানান, এই মামলার তদন্ত ফের শুরু হবে। শুক্রবার রিপোর্টের কথা জানাজানি হওয়ার পর কংগ্রেস নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, সুনন্দার মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। তাই এ নিয়ে এত জলঘোলা হচ্ছে।
শনিবার কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “প্রথম দিন থেকেই আমি পুলিশকে সাহায্য করে আসছি। পরেও করব। লুকোনোর মতো আমার কাছে কিছুই নেই। এখনও মৃত্যুর কারণ হিসেবে পুলিশের কাছ থেকে কিছুই জানতে পারিনি।”
শশী তারুরের পরে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুনন্দার ছেলে শিব পুষ্করও। তিনি বলেছেন, “মায়ের মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত। আমিও চাই দিল্লি পুলিশ তদন্ত শেষ করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিক। আমাদের দিল্লি পুলিশের উপর আস্থা আছে।”
এ দিন দিল্লি পুলিশকে সুনন্দার মৃত্যুরহস্য সংক্রান্ত রিপোর্টটি দ্রুত জমা দিতে বলেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। আজ কমিশনের তরফে ললিতা কুমারমঙ্গলম জানান, দিল্লি পুলিশকে তাদের রিপোর্টের সঙ্গে এইমসের চিকিৎসক দলের রিপোর্টটিও পাঠানোর কথা বলা হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলের ঘর থেকে পাওয়া যায় সুনন্দার দেহ। শোনা গিয়েছিল, শশী তারুরের সঙ্গে পাকিস্তানি সাংবাদিক মেহর তরার গোপন সম্পর্কের খবর টুইটারে জানার পরই আত্মঘাতী হয়েছেন সুনন্দা পুষ্কর।