সংরক্ষণের নয়া চেষ্টায় সরগরম ভোট বাজার

লোকসভা ভোটের মাঝেই ইস্তাহারে কিছু সংযোজন করেছে কংগ্রেস। তাতে বলা হয়েছে, ওবিসি-দের জন্য যে সংরক্ষণের বন্দোবস্ত রয়েছে, তার মধ্যেই ৪.৫ শতাংশ অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। গত ২৬ মার্চ কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

লোকসভা ভোটের মাঝেই ইস্তাহারে কিছু সংযোজন করেছে কংগ্রেস। তাতে বলা হয়েছে, ওবিসি-দের জন্য যে সংরক্ষণের বন্দোবস্ত রয়েছে, তার মধ্যেই ৪.৫ শতাংশ অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য নির্দিষ্ট থাকবে। বিষয়টি অসাংবিধানিক বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

Advertisement

গত ২৬ মার্চ কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল। তা হলে এখন নয়া প্রতিশ্রুতি কেন? কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, এটি কোনও সংযোজন নয়। ইস্তাহার নিয়ে রাহুল গাঁধী সমাজের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে কথা বলছেন। তাতে নানা পরামর্শ উঠে এসেছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এর মধ্যে কোন কোন নীতি ও কর্মসূচি খতিয়ে দেখবে, তারই একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

সেই তালিকা প্রকাশকেই অসাংবিধানিক বলেছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তাঁর যুক্তি, ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করা যায় না। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কপিল সিব্বলের যুক্তি, “ইস্তাহার নিয়ে আলোচনাপর্বে সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষের থেকেই এই পরামর্শ এসেছে। আমরা তাকে সম্মান জানাচ্ছি। এতে অন্যায় নেই। সংখ্যালঘু তোষণও হচ্ছে না।” কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, বেশ কিছু দিন আগেই এই তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছিল। এখন তা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসায় বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Advertisement

কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী কে রহমান খান জানান, ২০০৯-এর লোকসভা ভোটের ইস্তাহারেও ওবিসি-দের সংরক্ষণের মধ্যে অনগ্রসর মুসলিমদের জন্য ৪.৫ শতাংশ নির্দিষ্ট করার কথা বলা ছিল।” সিব্বলও মানছেন, উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। অন্ধ্রের মতো কিছু রাজ্যে সংরক্ষণের এই বন্দোবস্তও করা হয়। কিন্তু তার পরে এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে রয়েছে। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে বলে তাঁর দাবি। ওই তালিকায় আরও বলা হয়েছে, সমস্ত দলিত সংখ্যালঘুকে তফসিলি জাতিভুক্ত করা হবে। শিখ, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সিদের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি তৈরি হবে। সাম্প্রদায়িক হিংসা প্রতিরোধ বিল দ্রুত পাশ করানোরও প্রতিশ্রুতি রয়েছে ওই তালিকায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের মাঝপর্বে এসে কংগ্রেস বুঝেছে, বিভিন্ন রাজ্যে মেরুকরণের ফায়দা তুলছে বিজেপি। তাই সংখ্যালঘু ভোটের পুরোটাই নিজেদের ঝুলিতে টানার চেষ্টা করছে তারা। বিজেপি নেতা প্রকাশ জাভড়েকরের কটাক্ষ, “হেরে যাওয়া দল আগামিকাল চাঁদ এনে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিতে পারে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন