ত্রিপুরার রাজধানীকে ‘সবুজ শহর’ করে তুলতে চায় পুরসভা।
আগরতলা জুড়ে তা-ই পোঁতা হচ্ছে হরেক কিসিমের গাছের চারা। রাস্তায় বসছে ‘এলইডি’ আলো। রাখা হচ্ছে আর্বজনা ফেলার আলাদা জায়গা। শহরকে সুন্দর রাখতে রাস্তায় ইমারতি কারবারের ইট, বালির স্তূপ রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। আগরতলা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন-এর (এজিএমসি) মহানাগরিক প্রফুল্লজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, ৫ বছরের মধ্যে তাঁরা ওই কাজ শেষ করবেন।
কী ভাবে তৈরি হচ্ছে ‘গ্রিন সিটি’? পুরকর্তারা জানান, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পাম, ঝাউ প্রজাতির চারাগাছ বসানো হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে রাজভবন থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত রাজপথ সাজছে ‘এলইডি’ আলোয়। হ্যালোজেন, সাধারণ বাল্ব যে পরিমাণ দূষণ ছড়ায়, এলইডি আলোয় তা হবে না। খরচও বাঁচবে। পাশাপাশি, রাজধানীর কোনও জায়গায় উন্মুক্ত নিকাশি ব্যবস্থা থাকবে না। কংক্রিটের ঢাকনায় ঢেকে দেওয়া হবে নালাগুলি। প্রফুল্লবাবু বলেন, “শহরের সমস্ত পার্কের সঙ্গে সবুজে ঢাকবে অন্য এলাকাও।” তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এ বার থেকে খোলা রাস্তায় ইমারতি কারবারের মালপত্র রাখা যাবে না। বাড়ি নির্মাণ করতে হলেও, রাস্তার উপর ২৪ ঘণ্টার বেশি ইট, বালি ফেলে রাখতে পারবেন না কেউ-ই। তাঁর হুঁশিয়ারি, “নিয়ম না মানলে জরিমানা তো হবেই, তা ছাড়া রাস্তায় ডাঁই করে রাখা জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করবে পুরসভা।”
পুর-কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আগরতলাকে ‘গ্রিন সিটি’ করতে কাজে নামছেন ‘টুয়েপ’ (ত্রিপুরা আরবান এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম) প্রকল্পের ৩০ হাজার কর্মী। গৃহস্থালির আর্বজনা সংগ্রহে বিভিন্ন এলাকায় ‘ডাস্টবিন’ রাখছে পুরসভা। নিয়মিত সেগুলি পরিষ্কার করা হবে। শহরের প্রতি দিনের আবর্জনা দিয়ে সার তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে। সে দিকে তাকিয়ে আগরতলার কাছে দেবেন্দ্রনগরে একটি সার কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শহরের অলিগলি বাঁধানো হচ্ছে কংক্রিটে। প্রফুল্লবাবু জানান, পুরসভার আওতায় থাকা ৩২টি ওয়ার্ডেই পানীয় জল সরবরাহের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। শহরকে দূষণমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই এডিবি-র তরফে মিলেছে ২০০ কোটি টাকা অনুদানও।