নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় রাজনাথ সিংহ সামিল হওয়ার পর বিজেপি সভাপতির পদে অমিত শাহের নাম ক্রমশই জোরালো হচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় রাজনাথ আসার আগে থেকেই তাঁর উত্তরসূরি বাছতে সঙ্ঘ ও বিজেপির ভিতরে আলোচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু অমিত শাহকে সভাপতি করার ব্যাপারে দুটি বিষয় অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক, আরএসএস নেতৃত্বের একটি অংশ মনে করেন, মোদী এমনিতেই প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকারের রাশ নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। তার উপর ঘনিষ্ঠ অমিত শাহকে সভাপতি করা হলে দলের কর্তৃত্বও মোদীর হাতে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে সঙ্ঘের প্রাসঙ্গিকতা কমে যাবে। দুই, অমিতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। যেগুলি থেকে তিনি এখনও নিষ্কৃতি পাননি।
কিন্তু দল ও সঙ্ঘের সকলেই জানেন, শাহ ও তাঁর সাংগঠনিক ক্ষমতার উপরে অগাধ আস্থা রয়েছে মোদীর। উত্তরপ্রদেশের সাফল্যের পরে মোদী চাইলে তাঁকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তাঁকে কোনও মন্ত্রকের দায়িত্বও দিতে পারতেন। সে পথেও হাঁটেননি মোদী। ফলে সঙ্ঘেরও মনেও দ্বিধা নেই, মোদীর সবুজ সঙ্কেতেই তাঁর অনুগামীরা অমিতের নাম প্রস্তাব করছেন। এরই মধ্যে জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নামও আলোচনায় উঠে এসেছে। যদিও বিজেপি সূত্রের মতে, তাঁর নাম সভাপতি হিসাবে উঠে এসেছে একমাত্র অমিত শাহকে করা না হলে। ভবিষ্যতে যদি অভিযোগ থেকে মুক্তি পান, তা হলে সভাপতির দায়িত্ব নেবেন অমিত।
এই অবস্থায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মোদী আলোচনা করবেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতের সঙ্গে। সঙ্ঘকে বার্তা দেওয়ার জন্য মোদী নাড্ডাকে মন্ত্রিসভায় আনেননি। ভবিষ্যতে যদি সঙ্ঘের সম্মতি নিয়ে অমিত শাহকে দলের সভাপতি করা হয়, তা হলে পরে নাড্ডাকেও মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে পারেন মোদী। পাশাপাশি, যে সব রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসছে, সেখানেও অমিতের সাংগঠনিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করতে চান মোদী। এ বছরই মহারাষ্ট্রের নির্বাচনে তাঁকে পাঠানো হতে পারে।