সমুদ্র নিয়ে ঢাকার সঙ্গে ঝগড়া মিটল

ভারত ও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিল আন্তর্জাতিক আদালত। দ্য হেগ-এর এই আদালতের রায়ে বিবদমান প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার এলাকার প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রের অধিকার পেল বাংলাদেশ।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৪ ০৩:২৭
Share:

ভারত ও বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করে দিল আন্তর্জাতিক আদালত। দ্য হেগ-এর এই আদালতের রায়ে বিবদমান প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার এলাকার প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রের অধিকার পেল বাংলাদেশ। বাকি অংশ ভারতের। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলি এই রায়কে দু’পক্ষেরই জয় বলে বর্ণনা করেছেন। দিল্লিতে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রও আশা প্রকাশ করেছেন, দীর্ঘদিনের একটি বিরোধের সম্তোষজনক মীমাংসার রাস্তা খুলে দেবে এই রায়।

Advertisement

ভারত-বাংলাদেশ-মায়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের তলদেশে গ্যাসের অস্তিত্ব মেলার পরেই তার অধিকার নিয়ে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে টানাপড়েন শুরু হয়। ১৯৭১-এর পরে বসিরহাট-সাতক্ষীরায় হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহানায় তালপট্টি নামে একটি দ্বীপ গজিয়ে ওঠার পরে দু’দেশই তাকে নিজের বলে দাবি করে। তিক্ততা বেড়ে উঠলে বাংলাদেশ দ্য হেগ-এর আন্তর্জাতিক জলসীমা আদালতে সীমানা নির্ধারণ চূড়ান্ত করে দেওয়ার আবেদন জানায়। ট্রাইবুন্যালের বিচারকেরা সমুদ্রসীমায় এসে সরেজমিনে জরিপ করে যান। তার পরে দু’দেশের কর্তৃপক্ষকে ডেকে কথাও বলেন। জুনে এই রায় বেরোনোর কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। তার পরে গত কাল চূড়ান্ত রায় দেয় আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেছেন, রায়টির খুঁটিনাটি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন। তবে এই রায়ে দুই বন্ধু দেশের দীর্ঘদিনের মতভেদ মিটে যাবে বলে তাঁরা আশাবাদী। বাংলাদেশের পক্ষে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ আলির পাশে ছিলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী দীপু মণি। তিনিই ট্রাইবুন্যালে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। দীপু মণি বলেন, এই রায়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের মীমাংসা হওয়ার ফলে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। বিদেশমন্ত্রী বলেন, তালপট্টি ভারতের হাতে গেলেও বিস্তীর্ণ সমুদ্র ও তার প্রাণিজ ও খনিজ সম্পদের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। মায়ানমারের সঙ্গে তাঁদের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধও এই রায়ে মিটল বলে জানান আলি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন