জনসভায় দলীয় সমর্থকদের বিশৃঙ্খলায় বিরক্ত হলেন খোদ নরেন্দ্র মোদী!
আজ দুপুরে জামশেদপুরে গোপাল ময়দানে এমনই ঘটল। মঞ্চ থেকেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের শান্ত হওয়ার নির্দেশ দিলেন মোদী। ক্ষমা চেয়ে নিলেন সাংবাদিকদের কাছেও। ১৭ এপ্রিল ইস্পাতনগরীতে লোকসভা-যুদ্ধের আগে এমন কাণ্ডে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব।
আজ দলীয় প্রার্থী বিদ্যুৎবরণ মাহাতোর সমর্থনে বিষ্টপুরের ওই ময়দানে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন মোদী। নির্ধারিত সময়ের চেয়ে কিছুটা দেরিতে সেখানে পৌঁছন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। প্রচণ্ড গরমে তাঁর অপেক্ষায় ছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। বিশৃঙ্খলা ছড়ায় মোদীর বক্তৃতা শুরুর পরেই।
সভায় হাজির লোকজন জানান, মোদীর সভা ‘কভার’ করতে যাওয়া সংবাদ মাধ্যমের জন্য মূল মঞ্চের সামনে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছিল। দলীয় সমর্থকদের একাংশ সেটির উপরে উঠতে যান। বাধা দেওয়া হলে কয়েক জন সাংবাদিককে ধাক্কা দিয়ে ওই মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। বিজেপি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সামলাতে গেলে, তাঁদের উপরেও চড়াও হয় ওই সমর্থকরা। বাঁশের কাঠামো টপকে তারা মোদীর মঞ্চের দিকে এগোতে যায়। বিজেপি-র স্থানীয় নেতা-কর্মীরা আটকাতে গেলে, বাঁশ খুলে তাঁদের বেধড়ক মারধর শুরু করে ওই তরুণ-যুবকেরা।
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মোদী। চোখের সামনে গণ্ডগোল দেখে তিনি বক্তৃতা থামিয়ে দেন। সবাইকে শান্ত হতে বলেন। ক্ষমা চান সংবাদ মাধ্যমের কাছে। ১৯ মিনিট বক্তৃতা করে তিনি মঞ্চ থেকে নেমে যান। এ ঘটনার জন্য দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দায়ী করছেন নেতাদের একাংশ। তবে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব মোদীর সভায় গোলমালের কথা অস্বীকার করেছেন। জামশেদপুরের বিজেপি নেতা দীনেশানন্দ গোস্বামী বলেছেন, “কোনও ঝামেলা হয়নি। দলীয় কর্মীরা নরেন্দ্র মোদীকে দেখে উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন।” তবে সভা শেষ হওয়ার পরে গোপাল ময়দানে ভাঙা বাঁশের কাঠামো, ভেঙে যাওয়া চেয়ারের সারি অবশ্য অন্য কথা বলছে।