আরব্য রজনীতে নিশিভোজ।
নাঃ, আরবে পাড়ি দিতে হবে না। খাস কলকাতাতেই।
সুলতানি মেজাজ, সুন্দরী শাহজাদী আর বেলি ডান্সের মেহফিলের আমেজ জাঁকিয়ে বসবে রাজকীয় খানা-খাজানার সুস্বাদে। আয়োজকদের দাবি, খাস দুবাইয়ের শেফ মাজেদ অল সবাগের হাতের জাদুতে এই প্রথম আরবি হেঁশেল হাজির এ শহরে।
ভোজ শুরু করা যায় গ্রিল করা বেগুনের ‘এগপ্ল্যান্ট মৌতাবল’, অলিভ অয়েল, ওয়ালনাট, লঙ্কাবাটায় মাখানো রুটির টুকরোর ‘মৌহাম্মরাহ’, নানা রকম সব্জির ‘ফাট্টুস স্যালাড’ বা তহিনা সসে মাখামাখি ‘চিকেন তাজেন’, ভেড়ার মাংসের টুকরো আর পাইন সিড সহযোগে ‘হুম্মু’, ঝাল ঝাল প্যান ফ্রায়েড মাছে ‘হম্মার হরা’। মেন কোর্সে চেখে নিন অরিগ্যানোয় ম্যারিনেট করা চিকেন ব্রেস্টের ‘গ্রিল্ড শিশ তায়ুক’, দারচিনির গন্ধে ভরপুর ‘অলেপ্পো ল্যাম্ব কবাব’, লেবুর রস-পার্সলে সসে মজে থাকা চিংড়ি ‘গ্রিল্ড রুবিয়ান’ বা ধনে-লঙ্কা স্বাদে-গন্ধে ভরা আলুভাজা ‘বাটাটা হরা’, মশলাদার সব্জির ‘ফ্যালাফেল’-এর মতো সুস্বাদু সব পদ। সঙ্গতে থাক সুগন্ধী ঘিয়ে ভরপুর ‘ভার্মিসেলি রাইস’। শেষ পাতে খাঁটি
মিশরীয় ‘উম্ম আলি’, গোলাপগন্ধী সিরিয়ান পুডিং ‘মলহাব্যা’তে হোক মধুরেণ সমাপয়েৎ।
মোগলাই আর চিনা সুখাদ্য বাঙালি রসনার বিশ্বায়ন শুরু হয়ে গিয়েছিল ঢের আগেই। ভিনদেশি সুস্বাদের সেই তালিকাতেই এ শহরে নবতম সংযোজন আরবি খানার এই মহাভোজ। তাজ বেঙ্গলের রেস্তোরাঁ ‘স্যুক’-এ দুপুরে-রাতে এই খাদ্য উৎসব শেষ হবে কাল, রবিবার।
না-ই বা থাকল আশ্চর্য প্রদীপ। আলাদিনের দুনিয়ায় আপনি স্বাগত!