শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল

রোগীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ

এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রবিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীরামপুর শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ০১:২২
Share:

এক রোগীর মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে রবিবার শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন বাড়ির লোকজন ও পড়শিরা। তাঁদের অভিযোগ, যে বিভাগে আখতার আলি (২৫) নামে ওই যুবককে ভর্তি করানো হয়েছিল, সেখানকার কোনও চিকিৎসক তাঁকে দেখেননি। কার্যত বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

তবে, পুলিশ বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি এ দিন বিকেল পর্যন্ত। পুলিশ জানায়, ঘটনাটির তদন্ত হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাফিলতির অভিযোগ মানেননি। হাসপাতালের সুপার কমলকিশোর সিংহ বলেন, ‘‘জরুরি বিভাগেই চিকিৎসার পুরো ব্যবস্থা রয়েছে। চিকিৎসা ওখান থেকে শুরু করেই রোগীকে ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছিল। শনিবার রাতে এবং রবিবার সকালেও চিকিৎসক ওই যুবককে দেখেছেন। মনে হচ্ছে, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।’’

হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পেট ব্যথা এবং গলা-বুক জ্বালার উপসর্গ নিয়ে শনিবার দুপুর ১টা নাগাদ জরুরি বিভাগে আসেন শ্রীরামপুরের শীলবাগান এলাকার বাসিন্দা, জুটমিল শ্রমিক আখতার। ওই বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে একটি ইঞ্জেকশন দিয়ে ‘জেনারেল মেডিসিন’ বিভাগে ভর্তি করিয়ে দেন। আখতারের দাদা জামাল আখতারের অভিযোগ, ওই রাতে ওই বিভাগের কোনও চিকিৎসক আসেননি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ওই বিভাগের তিন চিকিৎসকের এক জনও নেই। শেষমেশ শোনা যায়, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকই আখতারকে দেখবেন। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ ওই চিকিৎসক যখন যান, তখন আখতার মারা গিয়েছেন। এ দিন হাসপাতালে বিক্ষোভের সময় হাজির ছিলেন সিপিএম কাউন্সিলর সুমঙ্গল সিংহ এবং তাঁর দলের কিছু কর্মী-সমর্থকও। সুমঙ্গলবাবুর অভিযোগ, ‘‘ওই রাতে সিস্টাররা ‘কল-বুক’ পাঠালেও লাভ হয়নি। চিকিৎসক আসেননি।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন