ছবি : সংগৃহীত।
ভয়টা পাচ্ছিলেনই। মনে মনে অপেক্ষা করছিলেন কবে দেখতে পাবেন। আচমকাই এক দিন চুল আঁচড়াতে গিয়ে চোখে পড়ল। চুলের গোড়ায় লেগে থাকা খুশকি!
এর পরে কী হবে তা আপনি জানেন। ক্রমে এই খুশকির আনাগোনা বাড়বে। ক্রমে চুল উঠতে শুরু করবে। মুখে দেখা দেবে ব্রণ। আর সারা দিনের অস্বস্তি তো রয়েছেই। মাথার ত্বকে চুলকানি, জ্বালা ভাব এমনকি, ছত্রাকজনিত সংক্রমণও হবে শেষে।
বিষয়টি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। তবে তার আগে চুলে শ্যাম্পু করার পরে কয়েকটি হেয়ার রিন্স বাড়িতেই বানিয়ে ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
১. আপেল সাইডার ভিনিগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনিগারে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে, যা খুশকির মূল কারণ যে ছত্রাক, তা নষ্ট করে দিতে পারে। পাশাপাশি, মাথার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করবে এই হেয়ার রিন্স।
উপকরণ: ২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার এবং ৬ টেবিল চামচ জল
ব্যবহারের পদ্ধতি: শ্যাম্পু করার পর এবং কন্ডিশনার ব্যবহারের আগে এই মিশ্রণটি আপনার মাথার ত্বকে এবং চুলে ঢেলে দিন। আঙুলের ডগা দিয়ে হালকাভাবে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এটি ২ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে পারেন।
২. লেবুর খোসা ভেজানো জল
লেবুর খোসায় থাকা অ্যাসিড খুশকি দূর করতে সাহায্য করে এবং চুলকে উজ্জ্বল করে।
উপকরণ: ৪-৫টি লেবুর খোসা আর ৪-৫ কাপ জল
ব্যবহারের পদ্ধতি: জল ও লেবুর খোসা একসঙ্গে প্রায় ২০ মিনিট ধরে ফোটান। জলটি সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। শ্যাম্পু করার পর এই ঠান্ডা হয়ে যাওয়া জল দিয়ে মাথার ত্বক ও চুল ধুয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রেখে তারপর সাধারণ জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৩. নিম পাতার জল
নিম একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। এটি মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ কমাতে কার্যকর।
উপকরণ: ২ মুঠো নিম পাতা, ৪-৫ কাপ জল
ব্যবহারের পদ্ধতি: নিম পাতাগুলো জলে দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন (অথবা দ্রুত করতে চাইলে গরম জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন)। সকালে জলটি ছেঁকে নিন। শ্যাম্পু করার পরে এই জল দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। তার পরে আর চুল না ধুলেও চলবে। খুশকির সমস্যা বেশি থাকলে এটি সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করতে পারেন।