ব্রণের সমস্যা? কোন খাবার রোজ খেলেই সমস্যা? ছবি: সংগৃহীত।
সুন্দর মুখ বিশ্রী দেখায় গাল ভর্তি ব্রণ থাকলে। শুধু দেখনদারির বিচারেই নয়, ব্রণ অত্যন্ত অস্বস্তিকরও। ব্যথা, চুলকানি এমনকি খুঁটে ফেললে তা থেকে সংক্রমণের ভয়ও থাকে। কারও ব্রণ হলে অল্প পরিচর্যায় কমে যায়, কারও আবার কিছুতেই তা যেতে চায় না।
অনেক সময় ব্রণের নেপথ্যে পেটের সমস্যা, হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়ার মতো কারণ। আর থাকে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস। পিৎজ়া, বার্গার, তেলেভাজার মতো খাবার পেটের জন্য ভাল নয়। তবে শুধু এগুলি নয়, দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এমন অনেক খাবার রয়ে যায়, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর এবং ব্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
দুগ্ধজাত খাবার: দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে নিঃসন্দেহে ভাল, তবে কখনও কখনও দুধ বা দুগ্ধজাত খাবার ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশি ঘি, মাখন, চিজ় থেকে কখনও কখনও পেটের সমস্যা দেখা দেয়। তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যে। ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে গেলেও ব্রণের সমস্যা বাড়ে।
নুন: স্বাদ বৃদ্ধিতে নুন খুব জরুরি। তবে অতিরিক্ত নুন দেওয়া খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয়। হিমায়িত খাবার, বেশ কিছু চিপ্স, কৌটোর খাবার, ভাজাভুজি-সহ অনেক কিছুতেই বেশি নুনের ব্যবহার হয়। নিয়মিত অতিরিক্ত নুন খাওয়ার প্রবণতা, স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, যা পরোক্ষে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।
প্রক্রিয়াজাত মাংস: বেকন, সসেজ, প্রক্রিয়াজাত মাংসের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়ার প্রবণতাও ব্রণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এতে থাকে স্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা প্রদাহ তৈরি করে। একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার না থাকলেও, বড় জোর সপ্তাহে এক বা দু’দিন তা খাওয়া যেতে পারে।
চিনি জাতীয় খাবার: খাবার শেষে একটা মিষ্টির লোভ এড়ানো অনেকের পক্ষেই কঠিন। এতেই সমস্যা বাড়ে। চিনি ‘এম্পটি ক্যালোরি’ বলে বিবেচিত, যাতে শুধু শর্করা ছাড়া কিছুই থাকে না। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবারের কারণে অম্বল হয়, পাকস্থলীতে প্রদাহ হতে পারে। যার প্রভাব ত্বকে পড়ে। ব্রণ দেখা দিতে পারে। সপ্তাহে এক দিন বা ২-৩ দিন অন্তর অল্প পরিমাণে মিষ্টি খাওয়া যেতে পারে।
ভাজাভুজি: পিৎজ়া, বার্গার, চিপ্স, শিঙাড়া, তেলেভাজা— এগুলির কোনওটাই স্বাস্থ্যকর নয়। ভাজাভুজি বা এই ধরনের বেশি ক্যালোরির খাবারে ট্রান্স এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই সমস্ত খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ত্বকে নিঃসরণ বেড়ে যায়। এই খাবারগুলিও ব্রণের কারণ হতে পারে। সপ্তাহে দু'এক দিন এগুলি খাওয়া যায়। তার বেশি নয়।