কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন, তবে সঠিক নিয়ম মানছেন কি? ছবি: সংগৃহীত।
গতিময় জীবনযাত্রা, কর্মব্যস্ততার যুগে আলাদা করে চুলের যত্ন নেওয়ার সময় অনেকেরই হয় না। ফলে একটা বয়সে পৌঁছনোর পরেই চুল পাতলা হতে শুরু করে। জানেন কি, চুল ধোয়ার পদ্ধতির মধ্যেই থাকতে পারে খামতি? অনেকেই মনে করেন, সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পু করে নিলেই বোধহয় চুলের পরিচর্যা হয়ে যায়। চুলের যত্নের জন্য কেবল শ্যাম্পুই যথেষ্ট নয়। অনেকেই শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলে যান। আর যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁরাও সঠিক পন্থা মেনে চলেন না। ফলে চুলের স্বাস্থ্য ভাল হওয়ার পরিবর্তে চুল পড়ার সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
জেনে নিন, কন্ডিশনার ব্যবহারের সময়ে কোন ভুলগুলি করবেন না?
১) চুলের গোড়ায় কিংবা মাথার ত্বকে ভুলেও কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। এতে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। চুলের মাঝখা থেকে ডগা পর্যন্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
২) অতিরিক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করলেই চুলের স্বাস্থ্য ভাল হবে এমনটা নয়। চুল কতটা লম্বা, সেই অনুযায়ী পরিমাণ মতো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুলে বেশি মাত্রায় কন্ডিশনার লাগালে মাথার ত্বক বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়বে। ফলে চুল ঝরার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
৩) মাথায় খুব বেশি ক্ষণ কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখবেন না। শ্যাম্পু করার পর মিনিট পাঁচেক কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। বেশি ক্ষণ কন্ডিশনার লাগিয়ে রাখলে চুল পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪) কন্ডিশনার ধোয়ার সময় তাড়াহুড়ো করেন অনেকেই। চুলে থেকে কন্ডিশনার ভাল ভাবে ধুয়ে না বার করলে চুল ফুরফুরে হবে না, আঠালো হয়ে থাকবে।
৫) কন্ডিশনারে ঠিক কী কী উপাদান রয়েছে, সেটা না জেনেই ব্যবহার করতে শুরু করেন? এতেই কিন্তু সমস্যা বাড়ে। সিলিকন যুক্ত কন্ডিশনার চুলে জেল্লা ফিরিয়ে আনে, অ্যামিনো অ্যাসিড চুলের গোড়াকে মজবুত রেখে চুল পড়ার সমস্যা দূর করে। অনেক কন্ডিশনারে প্রোভিটামিন ও পেন্থানল থাকে, যা চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে। আপনার চুলের জন্য কোন ধরনের কন্ডিশনারের প্রয়োজন, তা বুঝে নিয়ে তবেই ব্যবহার করুন।