চাল দিয়েই হবে চুলের সমস্যার সমাধান। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুম মানেই চুলের সমস্যাগুলি আরও বেড়ে যাওয়া। কখনও গরমে মাথার ত্বকে ঘাম বসে, কখনও আবার বৃষ্টির জলে চুল ভিজে থাকে। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে যখন বেঁধে রাখা চুল খুলতে যাচ্ছেন, ক্লিপে, রাবার ব্যান্ডে মুঠো মুঠো চুল উঠে আসছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার— কিছুই বাদ দিচ্ছেন না। কিন্তু তাতে লাভ তো কিছুই হচ্ছে না, বরং গুচ্ছের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হাতিয়ার হতে পারে চাল ভেজানো জল।
চাল ধোয়া জলে আছে কী?
চাল ধোয়া জলে আছে প্রচুর আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন। যা চুলের জন্য উপকারী। তবে তার সঙ্গে ওই জলে রয়েছে ইনোসাইটল বা ভিটামিন বি-৭। তা চুলের জেল্লা ফেরানোর কাজ করে। এ ব্যাপারে বহু গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছেও। তাতে স্পষ্ট বলা হচ্ছে, বি-৭-এর ক্ষমতা আছে চুলের ফাইবারের ভিতরে প্রবেশ করে চুলকে গোড়া থেকে শক্তিশালী করার। একই সঙ্গে ফিরিয়ে আনে স্বাস্থ্যোজ্জ্বলতা। এ ছাড়াও, চালের জলে থাকে মাড়। যা চুলের শুষ্ক ভাব কমিয়ে নমনীয়তা নিয়ে আসে।
ভাত রান্নার পরে যে জলটা ঝরিয়ে দেওয়া হয়, সেই মাড়ের জলও চুলে লাগানোর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমে জলটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। তার পরে রেখে দিতে হবে ১২-২৪ ঘণ্টা। তা হলেই তৈরি হবে চুলে ব্যবহারযোগ্য লোশন।
কতদিন রাখা যাবে চাল ধোয়া জল?
যদি পুরোটা কাজে না লাগে তা হলে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যেতে পারে। সুবিধার জন্য একটি স্প্রে করার বোতলেও রাখা যেতে পারে ওই জল। তাতে চুল সহজে ভিজবে। নষ্টও কম হবে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন চাল ধোওয়া জল?
শ্যাম্পু করার পর
চুলে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার মাখার পর শেষ বার চুল ধুতে ব্যবহার করুন রাইস ওয়াটার। এ ছাড়া এক কাপ রাইস ওয়াটারের সঙ্গে এক কাপ জল মেশান, তাতে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে নিন। এই জলটা চুলে ঢেলে ধীরে ধীরে গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত মালিশ করুন। পাঁচ মিনিট রেখে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। চুল এক মুহূর্তে চকচকে হয়ে উঠবে।
কন্ডিশনার হিসেবে
অনেকেই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চান না। তাই শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার হিসেবে মাথায় চাল ধোয়া জল ব্যবহার করে দেখতে পারেন। চাল ধোয়া জলে চুল হয়ে উঠবে মসৃণ, চুলে কোনও জটও থাকবে না।