ছবি : সংগৃহীত।
রাতে ঘুমোতে গেলেন এক রকম চুল নিয়ে। সকালে উঠে দেখলেন চুল রুক্ষ্ম দেখাচ্ছে। শ্যাম্পু না করে বাইরে বেরনোই যাবে না। কয়েকটি সহজ উপায় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১. ফ্রেঞ্চ ব্রেড
রাতে ফ্রেঞ্চ ব্রেড বা সাধারণ বিনুনি বেঁধে শুলে এক দিকে যেমন চুল এলোমেলো হয় না, তেমনই সুন্দর কোঁকড়ানো চুল পাওয়া যায়।
পদ্ধতি: চুল আঁচড়ে নিন। তারপর মাথার ওপর থেকে তিনটি ভাগ করে সাধারণ বেণির মতো বুনতে শুরু করুন, কিন্তু প্রতিটি ভাগের সঙ্গে চুলের আরও কিছু অংশ যোগ করে নিন। এভাবে পুরো চুলকে বেণি করে নিন এবং শেষে একটি নরম ব্যান্ড দিয়ে বেঁধে দিন।
সকালে চুল খুলে দিলেই চুলে হালকা কোঁকড়ানো ভাব আসবে। চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও থাকবে দূরে।
২. ঢিলেঢালা খোঁপা
এই ভাবে চুল বাঁধলে সকালে হালকা ভলিউম থাকবে চুলে।
পদ্ধতি: চুল আঁচড়ে নিয়ে মাথার ওপরের দিকে বা ঘাড়ের কাছে একটি ঢিলেঢালা খোঁপা করে নিন। খুব টাইট করে বাঁধবেন না, কারণ এতে চুলের গোড়ায় টান পড়তে পারে এবং সকালে মাথাব্যথা হতে পারে। একটি স্ক্রাঞ্চি (কাপড়ের ইলাস্টিক) ব্যবহার করলে চুলের ওপর চাপ কম পড়ে।
৩. টুইস্ট খোঁপা
এই পদ্ধতিটিও ঢেউ খেলানো চুলের জন্য ভালো।
পদ্ধতি: চুলকে দু’ভাগ করে নিন। প্রতিটি ভাগকে আলাদাভাবে টুইস্ট করে (পেঁচিয়ে) নিয়ে দুটো খোঁপা করে নিন। তারপর খোঁপা দুটোকে আলগাভাবে ক্লিপ বা ব্যান্ড দিয়ে আটকে দিন। সকালে এই খোঁপা খুলে দিলেই চুল থাকবে ঢেউ খেলানো ও স্টাইলিশ।
৪. বালিশের ঢাকাও জরুরি
চুল বাঁধার পাশাপাশি বালিশের ঢাকা বা কভারের দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। সুতির বালিশের কভার চুলে ঘষা লাগিয়ে চুলের আর্দ্রতা শোষণ করে নেয়, যা চুলকে রুক্ষ করে তোলে।
রাতে ঘুমানোর সময় সিল্ক বা সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করুন। এতে চুলে ঘষা কম লাগে এবং চুল নরম ও মসৃণ থাকে। অথবা সিল্কের স্কার্ফ দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখলেও একই ধরনের উপকার পাবেন।