চুল পড়ার সমস্যায় কী ভাবে আমলকি ব্যবহার করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় চুলের নানা সমস্যা নিয়ে নজেহাল হতে হয় কম বেশি সবাইকেই। কারও চুল ঝরে যাচ্ছে তো কারও খুশকির সমস্যা। চুলের যাবতীয় সমস্যা মিটিয়ে তাকে সুন্দর করার জন্য আমলকির ভূমিকা কম নয়। ‘ত্রিফলা’-র মধ্যে অন্যতম ফলটি আমাদের চুলকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের জেল্লা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়া-সহ নানা সমস্যা দূর করতে এই ফলের তুলনা নেই।
১) প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টা চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যদি এর চেয়েও বেশি চুল পড়ে, তা হলে আমলকির রস কাজে আসবে।
২) আমলকিতে থাকা কোলাজেন নতুন কোষ বা ফলিকল তৈরিতে এই কোলাজেন বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।
৩) ত্বক এবং চুলের যত্নে ভিটামিন সি অপরিহার্য। এই ভিটামিন সি-র উৎস হল আমলকি। কাঁচা আমলকি খেলে বা আমলকির রস মাথায় মাখলে চুলের গোড়া মজবুত হবে।
৪) আমলকি দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা চুলের পেকে যাওয়া রোধ করতে সহায়ক।
৫) চুলের যে কোনও সমস্যা মূলে রয়েছে খুশকি। মাথার ত্বক শুষ্ক হলে বা খুসকি থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে। নতুন চুল গজাবেও না। তাই সবার আগে মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। আমলকির রস মাথার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। ত্বককে শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায় এবং খুসকি রোধ করে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
১) আমলকির ছোট ছোট টুকরো করে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পর নারকেল তেলের সঙ্গে আমলকি মিশিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। নিয়মিত এই তেল দিয়ে মাথায় মালিশ করুন। চুলের একাধিক সমস্যার দাওয়াই হতে পারে এই তেল।
২) ২ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ আমলকি গুঁড়ো মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মাথায় মাখিয়ে আধ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিলেই চুলের একাধিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন।
৩) আমলকির সঙ্গে অ্যালো ভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ভাল ভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।