ক্যাকাও হোক শীতের রূপচর্চার সঙ্গী। ছবি: সংগৃহীত।
কোকো পাউডারে ত্বকচর্চা নতুন নয়, তবে ক্যাকাও পাউডার রূপচর্চার জগতে নয়া সংযোজন। যদিও এই শব্দগুলি প্রায়শই সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কোকো পাউডার এবং ক্যাকাও এক নয়। মূল পার্থক্য হল, ক্যাকাও সাধারণত কাঁচা, অপ্রক্রিয়াজাত দ্রব্য, যা উচ্চ তাপমাত্রায় প্রক্রিয়াকরণে তৈরি হয় কোকো পাউডার। কখনও কখনও ন্যূনতম প্রক্রিয়া অনুসৃত হয় ক্যাকাও তৈরিতে।
ক্যাকাও পাউডারে ভর্তি থাকে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ফ্ল্যাভানলস, প্রাকৃতিক যৌগ। তাই এই উপাদান ত্বককে দূষণ, অতিবেগনি রশ্মি, অকালবার্ধক্য থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। ফ্রি র্যাডিকালকে নিষ্ক্রিয় করতে, রক্তপ্রবাহ উন্নত করতে, ত্বকের আর্দ্রতা ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টগুলিই কার্যকরী হয়। ফলে চোখে-মুখে হালকা আভা, জেল্লা ফুটে উঠতে পারে। নিয়মিত ক্যাকাও খেলে বা মুখে লাগালে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। ত্বকের রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ফলে ত্বক বেশি অক্সিজেন ও পুষ্টি পেয়ে কোমল হয়ে ওঠে। এই প্রক্রিয়ায় সূক্ষ্ম বলিরেখা কমে এবং ত্বক তুলনায় বেশি কোলাজেন তৈরি করতে পারে। ক্যাকাওতে থাকা খনিজ, যেমন জ়িঙ্ক, কপার ও আয়রন ত্বকের স্বাভাবিক কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জ়িঙ্ক ব্রণ কমাতে সাহায্য করে, কপার কোলাজেন তৈরিতে অবদান রাখে এবং আয়রন রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। সব মিলিয়ে, ত্বককে স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যবান করে তোলে।
কোকো পাউডার নয়, ক্যাকাও দিয়ে রূপচর্চা করুন। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
প্রতি দিন এক চা চামচ থেকে এক টেবিল চামচ কাঁচা, মিষ্টিহীন ক্যাকাও পাউডার জলখাবারে বা ওটমিল, স্মুদিতে মিশিয়ে খেতে পারেন। রাতে ঘুমোনোর আগে উষ্ণ বাদামদুধে মিশিয়ে খেলে তা ত্বকের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। ক্যাকাও, মধু ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে তাৎক্ষণিক উজ্জ্বলতাও পাওয়া যায়। ক্যাকাও এবং কফি মিশিয়ে আলতো স্ক্রাব তৈরির মাধ্যমে ত্বকের মৃত কোষ সরানো যেতে পারে। অথবা ৭০ শতাংশ ক্যাকাওযুক্ত ডার্ক চকোলেট খাওয়া যায়।
কী কী সতর্কতা মাথায় রাখতে হবে?
দিনে এক থেকে দুই টেবিল চামচ ক্যাকাও পাউডার যথেষ্ট। অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত ক্যাকাও বেশি খেলে ক্যালোরি ও শর্করা বাড়তে পারে। ত্বকে প্রথম বার ব্যবহার করার সময়ে শরীরের কোনও অংশে প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভাল। ব্রণ বা এগ্জ়িমার মতো বিশেষ সমস্যা থাকলে নিয়মিত ব্যবহারের আগে চর্মরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।