ছবি : সংগৃহীত।
মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, সুগন্ধীও বাড়িতে বানাতে হবে! বাজারে তো এত রকমের সুগন্ধী রয়েছে, তার কোনও একটা কিনে নেওয়া তো অনেক সহজ। মুশকিল হল সহজলভ্য অধিকাংশ পারফিউমই দীর্ঘস্থায়ী হয় না। আবার যেগুলি দীর্ঘস্থায়ী, তার জন্য খরচও করতে হয় বিস্তর। অবশ্য শুধু আর্থিক ভাবনাই এক্ষেত্রে এক মাত্র বিবেচনার বিষয় নয়। বলা হয়, প্রতিটি মানুষের শরীরের নিজস্ব গন্ধ আছে। সেই গন্ধ তার এক ধরনের পরিচয়ও বটে। বাজারচলতি সুগন্ধী মাখলে আলাদা হওয়ার সুযোগ কোথায়। কিন্তু নিজেই নিজের সুগন্ধী বানিয়ে নিলে নিজের আলাদা পরিচয় বানানো যায়।
বিভিন্ন ধরনের এসেনসিয়াল অয়ল দিয়ে সুগন্ধী বানানো সম্ভব। এখানে একটির উদাহরণ দেওয়া হল। তবে বাড়িতে বানানো সুগন্ধীর ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। এক, এর গন্ধ স্থায়ী হলেও চড়া হবে না। দুই, এটি বানানোর কাজও ধৈর্যসাপেক্ষ। কম করে দু’সপ্তাহ ঠান্ডা-অন্ধকার জায়গায় রাখতে হবে। যত বেশি সময় দেবেন, ততই জোরালো হবে সুগন্ধী। তবে এ ক্ষেত্রে সবুরে মেওয়া ফলে নীতি কার্যকরী। সময় দিলে নিট ফল ভালই হবে।
কী ভাবে বানাবেন?
উপকরণ ১— ভ্যানিলা অ্যাবসলিউট ১৫-২০ ফোঁটা, ফ্রিসিয়া-পিওনি অয়েল ৬-৭ ফোঁটা,
উপকরণ ২— হানিসাক্ল অয়েল ৪-৫ ফোঁটা, গ্রিন অ্যাপল অ্যাবসলিউট ২ ফোঁটা,
উপকরণ ৩— বেনজ়য়েন অয়েল ৩ ফোঁটা, সিডারউড অয়েল ৩ ফোঁটা।
প্রণালী: তিন ধাপে তিন ধরনের উপকরণ দেওয়ার কারণ প্রতিটি ধাপের উপর সুগন্ধীর এক একটি নোটস বা মাত্রা নির্ভর করে। প্রথমটি বেস নোটস। দ্বিতীয়টি মিড নোটস এবং তৃতীয় উপকরণ গুলি টপ নোটসের। আপনার নিজস্ব পারফিউমে কোন নোটটি বেশি হবে কোনটি কম তা বুঝে ব্লেন্ড করুন। তার পরে অ্যালকোহল বা তেল মেশান।
প্রথমে বটম নোটস টেস্ট টিউবে দিন। ব্লেন্ড করে গন্ধটা নিন। তার পরে একে একে মিডল নোটস দিন। বুঝে দেখুন, কোন গন্ধটা বেশি চাই আপনার। তার পর টপ নোটস দিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন।
তার পরে গোটা মিশ্রণটা কাচের জারে ভরে আধ মিনিট মতো ভাল ভাবে ঝাঁকান। এতে তেলের অণুগুলো ভেঙে যাবে। গন্ধ খুলবে ভাল। তার পরে ওই জারেই ৪৮ ঘণ্টা রেখে দিন। তবে মাঝেমধ্যে বার করে নেড়েও নিন। ৪৮ ঘণ্টা পর ছেঁকে নিন মসলিনে। পারফিউম বোতলে ভরে রেখে দিন দু’সপ্তাহ বা তারও বেশি সময়।