Mask For Dry Hair

নারকেল-চিয়া বীজের যুগলবন্দিতেই শুষ্ক চুলে ফিরবে প্রাণ! পুজোর আগে জেনে নিন মাস্ক তৈরির নিয়মকানুন

ব্যস্ত জীবনে রূপচর্চা সময় নেই? মাত্র ১৫ মিনিট বার করতে পারলেই পুজোর আগে চুলে ফিরবে জেল্লা। বন্ধ হবে চুল পড়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৫ ১৩:৩২
Share:

পুজোর আগে চুলে চট জলদি জেল্লা ফেরাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

বছরভর যেমন-তেমন। দুর্গাপুজো আসার মাস দুয়েক আগে থেকেই রূপচর্চার হিড়িক পড়ে। নজর যায় রুক্ষ ত্বক, শুষ্ক চুলের দিকে। অভিনেত্রী থেকে রূপচর্চা শিল্পীরা বার বার বলেন, ত্বক বা চুলের পরিচর্যা একটি ধারাবাহিক বিষয়। স্বল্প সময়ে কোনও জাদু হয় না।

Advertisement

ব্যস্ত জীবনে সব সময় নিয়ম মেনে রূপচর্চা করতে পারেন না অনেকেই। তবে এখন আর দেরি না করে পুজোর আগে সুন্দর হয়ে উঠতে একটু নজর দিতেই পারেন। নারকেল তেল এবং চিয়া বীজ দিয়ে বানিয়ে নিন চুলের মাস্ক। প্রোটিন, ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট,অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের গুণে বন্ধ হবে চুল ঝরা। ধীরে ধীরে নিষ্প্রাণ চুল হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

চুলের জন্য চিয়া বীজ

Advertisement

বছর তিন-চার আগেও লোকে চিয়া বীজের নাম শুনলে ভ্রু কোঁচকাতেন। তবে এখন সেই জিনিসই মেলে পাড়ার মুদির দোকানে। ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, জ়িঙ্ক-সহ একাধিক ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর বীজটির পুষ্টিগুণ নিয়ে যতই চর্চা বাড়ছে, ততই জনমানসে কৌতূহল তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যসচেতন বহু মানুষই এখন দিন শুরু করেন চিয়া ভেজানো জল দিয়ে বা স্মুদি খেয়ে।

চুল ঝরা নেপথ্যে অনেক কারণ থাকে। তার মধ্যে দু’টি কারণ হল অযত্ন এবং পুষ্টির অভাব। শরীর সুস্থ রাখার যেমন পুষ্টির দরকার, চুলের বাড়বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ জরুরি। তা ছাড়া অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টও চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখতে সাহায্য করে।

চুল ভাল রাখতে নারকেল তেলের ব্যবহারের কথা সকলেই জানেন। পুষ্টিগুণ নারকেল এবং নারকেল তেলও কম নয়। এতে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড চুল মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

এই দুই উপকরণ দিয়ে মাস্ক তৈরি করলে রুক্ষ ভাব দূর হবে, চুল ঝরা বন্ধ হয়ে চুল হবে ঘন, সুন্দর। শিখে নিন মাস্ক তৈরির পদ্ধতি।

কী ভাবে বানাবেন?

চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী চিয়া বীজের পরিমাণ নির্ভর করবে। ২-৩ টেবিল চামচ চিয়া বীজ ধুয়ে রাতভর ভিজিয়ে নিন। হাতে সময় থাকলে ঈষদুষ্ণ জলে ঘণ্টাখানেক ভেজালেও চলবে। ভেজানো চিয়া বীজ বেটে যোগ করুন ২-৩ টেবিল চামচ নারকেল তেল। পছন্দের এসেন্সিয়াল অয়েল কয়েক ফোঁটা জুড়ে নিতে পারেন। যেমন রোজ মেরি অয়েল। এটিও চুলের জন্য ভাল। সমস্ত উপকরণ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন।

ব্যবহারবিধি

অপরিচ্ছন্ন মাথায় কখনও মাস্ক ব্যবহার উচিত নয়। প্রথমেই চুলে শ্যাম্পু করে নিন। তোয়ালে দিয়ে জল মুছে নিন। চুল আধভেজা অবস্থায় ব্রাশ বা হাতের সাহায্যে ক্রিমের মতো মিশ্রণটি মাথার ত্বক থেকে চুলের ডগা পর্যন্ত লাগিয়ে হালকা মাসাজ করতে হবে। ১০-৩০ মিনিট মাথায় সেটি রেখে ধুয়ে নিন। মৃদু শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর কন্ডিশনার মাখতে হবে। মাসে তিন থেকে চার দিন এই মাস্কটি ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চুলের বদল হবে। চুল হবে নরম এবং মসৃণ।

শুধু মাস্ক ব্যবহার যথেষ্ট নয়, ধুলো-ময়লা, রোদের তাপেও চুলের ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি আটকানোর জন্য দু’-তিন দিন অন্তর শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। নিয়মিত বা দু’দিন অন্তর তেল মাখলেও রুক্ষ ভাব দূর হবে। জরুরি হল স্বাস্থ্যকর খাওয়া। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ খাবার শরীরকে ভিতর থেকে পুষ্টি জোগাবে।

প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। কারও যদি চিয়াবীজে অ্যালার্জি থাকে মাস্কটি তাঁর জন্য নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement