Fragrance Layering

‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’-এ মজেছে কমবয়সিরা, কী এই পদ্ধতি? পুজোর সাজে ব্যবহার করে দেখবেন নাকি?

'ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’ নতুন কোনও পদ্ধতি নয়, তবে এখনকার প্রজন্ম লেয়ারিংয়েই মেতেছে। এতে কম খরচে, সাধ্যের মধ্যে সুগন্ধি কিনেও তার সুগন্ধে ভরিয়ে রাখা যাবে নিজেকে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:৪২
Share:

পুজোর সময়ে ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং করবেন নাকি? ছবি: এআই।

বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলেই তাঁর সুগন্ধির গন্ধতে মন ভরে যায়। তাঁর থেকে সুগন্ধির নামটা জেনে খুব শখ করে দামি একটি সুগন্ধি কিনে আনলেন। সেজেগুজে সুগন্ধি লাগিয়ে হয়তো বিশেষ মানুষের সঙ্গে দেখা করে বেরোলেন। অথচ গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই গন্ধ উধাও হয়ে গেল। তাতে মনখারাপ হয়ে যাওয়ারই কথা। পুজোতে পরিপাটি করে সেজে বেরোনোর পরিকল্পনা আছে। চিন্তা একটাই, ভিড়ভাট্টা, রোদ-বৃষ্টিতে দীর্ঘ সময়ে বাইরে থাকবেন, সুগন্ধির গন্ধ টিকবে তো? গন্ধ যতই চড়া হোক আর দাম যতই বেশি হোক, সুগন্ধ যদি দীর্ঘ সময়ে টিকিয়ে রাখতে হয় তা হলে এক সুগন্ধিতে কাজ হবে না, করতে হবে লেয়ারিং। ‘ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং’ নতুন কোনও পদ্ধতি নয়, তবে এখনকার প্রজন্ম লেয়ারিংয়েই মেতেছে। এতে কম খরচে, সাধ্যের মধ্যে সুগন্ধি কিনেও তার সুগন্ধে ভরিয়ে রাখা যাবে নিজেকে।

Advertisement

ফ্রেগ্র্যান্স লেয়ারিং কী?

লেয়ারিং এমন এক কৌশল, যেখানে বিভিন্ন সুগন্ধি পণ্য, যেমন শাওয়ার জেল, বডি লোশন, ময়েশ্চারাইজ়ার, বডি স্প্রে এবং পারফিউমের গন্ধ মিলিয়ে একই সঙ্গে এমন ভাবে ব্যবহার করা হয়, যাতে সুবাস অতি তীব্র না হলেও তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। কেবল একটি পণ্য ব্যবহার করে তা সম্ভব নয়। তবে চিন্তার কারণ নেই। এর জন্য যে খুব দামি পণ্য কিনতে হবে, তা-ও একেবারেই নয়। শুধু সঠিক সুগন্ধি বাছাই করতে হবে ও লেয়ারিংয়ের কৌশল জানতে হবে।

Advertisement

ধাপে ধাপে শিখুন লেয়ারিং

১) সুগন্ধি লেয়ারিং শুরু হবে স্নানের সময় থেকে। পছন্দের সুগন্ধি বা বডি স্প্রে-র সুগন্ধের সঙ্গে মিল আছে, এমন বডি ওয়াশ বা সাবান ব্যবহার করতে হবে।

২) স্নানের পর ত্বক সামান্য ভিজে থাকা অবস্থায় এমন ময়েশ্চারাইজ়ার ত্বকে মালিশ করুন, যার সুগন্ধও আপনার পছন্দের সুগন্ধির মতোই। যেমন, যদি আপনার সুগন্ধি বা বডি স্প্রে-র ঘ্রাণ ফ্লোরাল, ওরিয়েন্টাল, সাইট্রাস বা ভ্যানিলা জাতীয় হয়, তা হলে ময়েশ্চারাইজ়ারেও তেমনই ঘ্রাণ থাকতে হবে।

৩) এর পরে শরীরের নির্দিষ্ট কিছু জায়গা যেমন কব্জি, ঘাড়, কনুইয়ের ভাঁজে, কানের পিছনের দিকে বডি স্প্রে ব্যবহার করুন। বডি স্প্রে-তে সুগন্ধি তেলের ঘনত্ব কম থাকে, তাই এটি হালকা। দিনে বার কয়েক ব্যবহার করা যায়।

৪) সবশেষে ব্যবহার করতে হবে সুগন্ধি। শরীরের যে জায়গাগুলিতে বডি স্প্রে ব্যবহার করেছিলেন, সেখানেই পারফিউম স্প্রে করুন। সুগন্ধির ঘনত্ব বডি স্প্রে-র চেয়ে অনেক বেশি, তাই এর গন্ধ দীর্ঘ সময় থাকে। একই পালস পয়েন্টগুলিতে বডি স্প্রে ও সুগন্ধি স্প্রে করলে সেই গন্ধ বহু ক্ষণ টিকে থাকবে।

তবে লেয়ারিং করলে খেয়াল রাখবেন, বডি স্প্রে বা সুগন্ধি, কোনওটিতেই যেন অ্যালকোহলের মাত্রা বেশি না হয়। তা হলে ত্বকের ক্ষতি হবে। কেনার আগে দেখে নিতে হবে সুগন্ধিতে অ্যালুমিনিয়াম, ইথাইল অ্যালকোহল আছে কি না। এই উপাদানগুলি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে থাকে। ফলে ত্বক কালচে হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, কুঁচকে যেতেও শুরু করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement