ডিম মাখবেন চুলে? সাদা না কি কুসুম? ছবি: সংগৃহীত।
ডিম খাওয়াই হোক বা মাখা— চুলের জন্য তা অত্যন্ত ভাল। ভিটামিন, খনিজ এবং প্রোটিনে ভরপুর ডিম চুলের প্রয়োজনীয় প্রোটিন কেরাটিনের চাহিদা পূরণ করে। তা ছাড়া এতে থাকা জ়িঙ্কও চুলের বৃদ্ধির জন্য জরুরি।
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় একটি করে ডিম রাখার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। আবার রূপচর্চায় ডিমের কদর যথেষ্ট। বিশেষত চুলের যত্নে ডিম, দই, তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাখার চল আছে। কেউ ডিমের সাদা অংশ মাখেন, কেউ শুধু কুসুম। কিন্তু চুলের জন্য ভাল কোনটি? না কি গোটা ডিমই মাখা দরকার?
ডিমের পুষ্টিগুণ
গোটা ডিমে ৭২ ক্যালোরি মেলে, ডিমের সাদা অংশে সেই পরিমাণ ১৭ ক্যালোরি, হলুদ অংশে ৫৫ ক্যালোরি। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন থাকে ৩.৬ গ্রাম, কুসুমে ২.৭ গ্রাম। ফ্যাটের মাত্রা বেশি আবার কুসুমে। জ়িঙ্কের মাত্রাও বেশি কুসুমে।
সাদা অংশের ভূমিকা
ডিমের সাদা অংশে প্রোটিন এবং বিভিন্ন রকমের ভিটামিন থাকে। চুলের গোড়া মজবুত করতে এবং চুলের বৃদ্ধিতে তা খুবই কার্যকর। পাশাপাশি, মাথার ত্বক পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। কোলাজেন নামক প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয় চুল। কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে এটি।
কুসুমের ভূমিকা
ভিটামিন এ, ডি, বি৬, থিয়ামিন, ফোলেট— এগুলি সবই মেলে কুসুমে। এর মধ্যে বাায়োটিন এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বায়োটিন চুল ঝরা বা পাতলা হয়ে যাওয়া থেকে চুলকে রক্ষা করে। মাথার ত্বকে সেবাম উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
সাদা না কুসুম, না কি গোটা ডিম?
মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে, তৈলাক্ত ভাব নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ডিম। ডিম আর কুসুমের পুষ্টিগুণ, কার্যকারিতা সমান নয়। চুলের বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উঠলে এগিয়ে থাকবে কুসুমই। তবে চুলের যত্নে ডিমের সাদা অংশ বাদ দেওয়ার তেমন প্রয়োজন হয় না। বরং গোটা ডিম মাখলেই ভাল। খাওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ডায়েট নিয়ে কড়াকড়ি থাকলে অনেক সময় কুসুম বাদ দিতে বলা হয়। তবে তা পুষ্টিবিদের পরামর্শেই করা উচিত।