হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে মেয়েদের

অনিয়মিত খাদ্যাভাস আর মানসিক চাপে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগের সমস্যা বেড়ে চলেছে মহিলাদেরও। ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা তিন গুণ বেশি হৃদ্‌রোগের সমস্যায় ভুগছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পুরুষ-নারী ভেদাভেদ করাটা অন্তত হৃদ্‌রোগের ধাতে নেই!

Advertisement

অনিয়মিত খাদ্যাভাস আর মানসিক চাপে পুরুষের সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগের সমস্যা বেড়ে চলেছে মহিলাদেরও। ইংল্যান্ডের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে পুরুষদের তুলনায় মহিলারা তিন গুণ বেশি হৃদ্‌রোগের সমস্যায় ভুগছেন। ভারতীয় মহিলাদেরও একটি বড় অংশ ওই রোগে আক্রান্ত। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা জানাচ্ছে, ২০১৭-য় এ দেশের প্রায় ৪১% মহিলার দেহে উচ্চ কোলেস্টেরল পাওয়া গিয়েছে, যা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

রবিবার সকালে বলিউড অভিনেত্রী শ্রীদেবীর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের বিভিন্ন মহলে ভারতীয় মহিলাদের হৃদ্‌রোগ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। একই সঙ্গে জল্পনা শুরু হয়েছে, ভারতীয় মহিলাদের ওজন কমানোর প্রবল ইচ্ছে এবং তার জন্য নানা ধরনের কসরত, রাসায়নিক ব্যবহার এবং প্রয়োজনীয় খাবারদাবার থেকেও নিজেকে বঞ্চিত করে রাখার প্রবণতাই কি হৃদ্‌রোগের মতো প্রাণঘাতী সমস্যা তৈরি করছে?

Advertisement

হৃদ্‌রোগ চিকিৎসকদের একাংশ অবশ্য জানাচ্ছেন, ‘সাডেন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ অনেকটা পথ-দুর্ঘটনার মতোই। কখন, ঠিক কী কারণে হঠাৎ সমস্যা তৈরি হবে, সেটা আন্দাজ করা যায় না। তবে পরিমিত খাবার ও প্রয়োজনীয় শারীরচর্চা একাধিক রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। ‘‘ওষুধ কিংবা সার্জারি নয়। বরং প্রয়োজনীয় পরিমাণে খাবার ওজন ঠিক রাখার সঙ্গে সঙ্গে শরীর সুস্থ রাখে,’’ বলছেন হৃদ্‌রোগের চিকিৎসক সত্যজিৎ বসু।

আরও পড়ুন: ঠোঁট রাঙাবে, স্বাস্থ্যবন্ধুও হবে লিপস্টিক গাছ

চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, অসময়ে খাওয়া এবং অতিরিক্ত তেলমশলাদার খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে উঠছেন অধিকাংশ ভারতীয়। সেগুলোই হৃদ্‌রোগের মতো সমস্যা ডেকে আনছে। পরিমিত আহার সম্পর্কে ধারণার অভাব পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বলে মনে করছেন তাঁরা। হৃদ্‌রোগের চিকিৎসক শুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিমাণের পাশাপাশি কী খাওয়া হচ্ছে, সেটাও দেখা জরুরি।
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার কম পরিমাণে খেলেও সেটা শরীরের পক্ষে ঠিক নয়।’’

লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, অধিকাংশ ভারতীয় মহিলা হৃদ্‌রোগ সম্পর্কে সচেতন নন। তাই ওই রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ মহিলারই গোড়া থেকে কোনও রকম চিকিৎসা হয় না। বিশেষত, যাঁরা কোনও শারীরিক কসরত না-করেও খুব ঘামেন, তাঁদের ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন