পুরনো ট্যাটু মনে ধরছে না? না মুছেও কী ভাবে সকলের চোখের আড়ালে রাখা যায় সেটি? ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমিকা বা প্রেমিকার নাম লেখা হয়ে থাকে শরীরে। সেই ভাবনা থেকেই বুকে, হাতে, শরীরের নানা অংশে ট্যাটু করান অনেকেই। কখনও খোলা পিঠে, কখনও কোমরে, কখনও আবার হাতে উঁকি দেয় রং বেরঙের নকশা, প্রেমের কোনও পংক্তি কিংবা কবিতার লাইন। নানা জনের পছন্দ নানা রকম।
মুশকিল হয়, প্রিয় মানুষটি মনে দাগা দিয়ে চলে গেলে। কিংবা পছন্দ পাল্টে গেলে। পোশাক ভাল না লাগলে পাল্টে ফেলা যায়। প্রেমাস্পদের সঙ্গে মনের মিল না হলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা যায়। কিন্তু স্থায়ী ট্যাটু হয়ে গেলে তা চট করে মুছে ফেলা যায় না। ট্যাটু তোলার পদ্ধতি যেমন খরচসাপেক্ষ, তেমন যন্ত্রণাদায়কও। দরকার হয় লেজ়ার থেরাপির। তা-ও সে সব একেবারে ওঠে না। কখনও আবার কালি হালকা হলেও, তা পুরোপুরি মুছে যায় না। খরচও ট্যাটু করার চেয়ে বেশি হয়ে যায় অনেক সময়।তবে এমন সমস্যার সমাধান হতে পারে অন্য ভাবেও।
লুকিয়ে ফেলা: পুরনো ট্যাটু বা নাম থেকেই নতুন নকশা যেমন করা যায়, তেমনই আবার নতুন ট্যাটু দিয়ে পুরনো ট্যাটুকে সম্পূর্ণ ঢেকেও দেওয়া যায়। বিষয়টি নির্ভর করে শিল্পীর হাতযশের উপরে। অনেক শিল্পী আছেন, যাঁরা একটি নাম থেকেই মনের মতো নকশা তৈরি করতে পারেন। তেমনই নির্দিষ্ট অক্ষর, উক্তির পাশ থেকে কিছু লাইন টেনে, নতুন নকশা করে পুরনোকে রেখেই নতুন কিছু করা যায়। পুরনো লুকিয়ে থাকে নতুনের আড়ালে।
আবার অনেক সময় গাঢ় কোনও রঙের কালি দিয়েও ট্যাটুর পুরনো নকশা, লেখা আড়াল করে নতুন কিছু করা যায়।
গাঢ় রং: আগের ট্যাটুর চেয়ে রঙিন এবং গাঢ় রং দিয়েও ট্যাটু ঢাকা যায়। একটু বড় নকশা, চওড়া করে রং দিয়ে কিছু লিখলেও পুরনো লেখা, ছবি ঢেকে যেতে পারে। সাধারণত, গাঢ় নীল, লাল— এই ধরনের রঙের ব্যবহার করে পুরনো চিহ্ন, অক্ষর ঢেকে দেওয়া যেতে পারে।
শিল্পীর ভাবনা: ট্যাটু শিল্পী তাঁর নিজস্ব দক্ষতা, ভাবনা দিয়েও এটি আড়াল করতে পারেন। শেড, ক্যামোফ্লেজ (যেখানে পুরনো নকশা সামনে থেকেও মিশে যাবে ) ডিজাইন করে পুরনো ট্যাটু ঢেকে দিতে পারেন। পুরনো জিনিসটি ঢাকতে আকারে বড় ট্যাটু করাতে হবে।