ফণীর প্রভাবে এখনও বিপর্যস্ত ওড়িশা। ছবি: পিটিআই।
ফণীর ভয় কেটে গিয়েছে। শহরে সে ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি দৈত্য ঘূর্ণাবর্ত। তবে নদীয়া, মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা-সহ নানা জেলায় ফণীর প্রভাবে ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই দুর্গত এলাকাগুলির স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে কিছু সময় লাগবে কিছু দিন। তাই প্রয়োজন একটি সাধারণ গাইডলাইন। তবে দুর্যোগের সঙ্গে লড়তে গেলে কী করবেন আর কী করবেন না সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত।
এলাকা থেকে গাছ সরানো বা হঠাৎ বিপর্যয় পরবর্তী কোনও বিপদ এড়াতে আগেভাগেই হেল্পলাইন নম্বরগুলি সংগ্রহ করে রাখা ভাল। প্রয়োজনে সাহায্য নিন। নবান্ন কন্ট্রোল রুম- ১০৭০/ ০৩৩ ২২৫ ৩৫১৮৫/ ০৩৩ ২২১৪৩৫২৬। কলকাতা পুলিশ (জরুরি অবস্থায়) ০৩৩-২২১৪৩০২৪/ ২২১৪-৩২৩০/২২১৪-১৩১০ নম্বরের ফোন করে জানানো যাবে। জানানো যাবে ১০০ ডায়াল করেও।
সিইএসসির তরফে যে কোনও সহায়তার জন্য ১৯১২, ৪৪০৩ ১৯১২ অথবা ১৮০০ ৫০০ ১৯১২ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করা হয়েছে। এগুলি ছাড়াও মেনে চলুন কিছু মূল নিয়মকানুন।
আরও পড়ুন: হঠাৎ ঝ়ড়-বৃষ্টিতে হতে পারে নানা অসুখ, প্রতিকারের উপায় জানেন?
হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ত্বকে সমস্যা? এ সব মেনে সুস্থ থাকুন
গাড়ি ব্যবহারে লাগাম টানুন, গাছ পড়া এলাকায় বিপত্তি ঘটতে পারে। ছবি: রয়টার্স।
দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকায় থাকলে গাড়ি নিয়ে না বের হওয়াই ভাল। গাছ পড়ে বহু রাস্তা খারাপ হয়েছে। কোথাও যেতে হলে কোন পথে যাওয়া সুবিধাজনক, তা আগে খোঁজ নিন। সেই বুঝে পথ বাছুন। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বাইরে থেকে এসে খুব ভাল করে হাত-পা ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে গরম জলে কিছু ক্ষণ পা ডুবিয়ে রাখুন। হাতের কাছেই যেন মজুত থাকে কিছু জরুরি ওষুধ। এর মধ্যে সর্দি-জ্বর, পেটের সংক্রমণ প্রধান। রাস্তায় পড়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ভুলেও হাত দেবেন না। বাড়িতেও অতি সতর্কতার সঙ্গে সুইচ বোর্ডে হাত দিন। ভিজে হাতে সুইচ বোর্ড ধরা উচিত নয় কোনও ভাবেই। কোনও ভাঙা পাত্রে বাড়ির বাইরে জল জমে থাকলে সেই জল ফেলে দিন। মশার বংশবিস্তার রোধ না করতে পারলে ম্যালেরিয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।