Titanic

২৬ বছরের পুরনো রহস্যভেদ! টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছেই খোঁজ মিলল নতুন এক পৃথিবীর

২৬ বছর আগে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে পিএইচ নারজিওলেট নামে একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন এক রহস্যের সন্ধান পেয়েছিলেন। সম্প্রতি ভেদ হল এই রহস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২২ ২০:১১
Share:

সমুদ্রের নীচে ঠিক যেখানে টাইটানিকডুবি হয়েছিল তার কাছ থেকেই ওই বস্তুটির খোঁজ পাওয়া যায়। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে সমাধান হল ছাব্বিশ বছরের পুরনো একটি রহস্যের। অতলান্তিক মহাসাগরের নীচে যেখানে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল, সেখান থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে খোঁজ মিলল এক বিস্ময়কর সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের। প্রায় ছাব্বিশ বছর আগে পিএইচ নারজিওলেট নামে এক জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং ডুবুরি মহাসমুদ্রের তলদেশে অভিযান চালিয়ে একটি রহস্যময় বস্তু তুলে এনেছিলেন। সেই সময় জিনিসটি আসলে কী, তা বোঝা সম্ভব হয়নি। তা নিয়ে গবেষণাও কম করেননি নারজিওলেট। প্রথমে তাঁর মনে হয়েছিল, ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষেরই কিছু হবে সেটা। কারণ সমুদ্রের নীচে ঠিক যেখানে টাইটানিকডুবি হয়েছিল তার কাছ থেকেই ওই বস্তুটির খোঁজ পাওয়া যায়। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল, সেটি আসলে একটি সুপ্ত আগ্নেয়গিরির প্রাচীর।

Advertisement

সম্প্রতি সেই আগ্নেয়গিরিটির বর্তমান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অতলান্তিক মহাসাগরের সেই অতলে পাড়ি দিয়েছিলেন এক দল গবেষক। সেখানে যেতেই চক্ষু চড়কগাছে তাঁদের। সেই আগ্নেয়গিরির প্রাচীরের গায়েই সমু্দ্রের তলদেশে তৈরি হয়েছে একটি আশ্চর্য বাস্তুতন্ত্র। স্পঞ্জ, প্রবাল, ঝিনুক নিয়ে সামুদ্রিক পরিবেশে তৈরি হয়েছে প্রায় অচেনা এক বাস্তুতন্ত্র। জীববৈচিত্র সমন্বিত ওই প্রাচীরটি টাইটানিকের অবশেষের এলাকা থেকে ২৯০০ মিটারের মধ্যে অবস্থিত। গবেষকদের মধ্যে একজন বলেছেন, ‘‘আমরা সত্যিই জানতাম না যে, কী আবিষ্কার করতে চলেছি। ভেবেছিলাম, হয়তো অন্য কোনও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ হবে। এত দিন ধরে নতুন কিছু অন্বেষণের চেষ্টায় ছিলাম। এত দিনে তা সফল হল।’’ অন্য একজন গবেষক বলেন, ‘‘উত্তর অতলান্তিক মহাসাগরের প্রায় ২৯০০ মিটার গভীরে সামুদ্রিক মাছ, প্রবালে, বৃহৎ গলদা চিংড়ির এমন বৈচিত্র দেখে বিস্মিত হয়েছি। এই আবিষ্কার আশপাশের অজানা বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কে এক নতুন ধারণা দিয়েছে।"

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন