Office

অফিস থেকে বেরোতে রোজ দেরি? এই পদ্ধতি প্রয়োগ করুন

একটু পরিকল্পনামাফিক ভাবে কাজ করলে গোটা ব্যাপারটা সহজেই গুছিয়ে নেওয়া যায়। এখানে রইল অফিসে টাইম ম্যানেজনেন্টের আট দাওয়াই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ১৩:৫২
Share:

সময় অমূল্য, এ কথা সকলের জানা। সময়ে অফিসে না পৌঁছলে বসের চোখ রাঙানি। সময়ে বাড়ি না ফিরলে পরিবারের লোকজনের গোঁসা। সব জেনেও সময়কে বশ মানানো মুশকিল। কোনও মতে নাকে মুখে গুঁজে সময়ে অফিস পৌঁছে গেলেও, ফেরা কখনই যেন সময়ে হয়ে ওঠে না।

Advertisement

এর প্রভাব প্রাথমিক ভাবে বুঝতে পারেন না অনেকেই। অনেকে ভাবেন, অন্যদের থেকে বেশি কাজ করছেন। কিন্তু আসল সমস্যা টাইম ম্যানেজমেন্টের। যার ফল ভুগতে হয় নিজেকেই। প্রিয়জনের সঙ্গে দূরত্ব তো আছেই, প্রতি দিনের এই সমস্যা জন্ম দিতে পারে অবসাদেরও।

অথচ একটু পরিকল্পনামাফিক ভাবে কাজ করলে গোটা ব্যাপারটা সহজেই গুছিয়ে নেওয়া যায়। এখানে রইল অফিসে টাইম ম্যানেজনেন্টের আট দাওয়াই।

Advertisement

সপ্তাহের শুরুতে যে কাজগুলি সারতেই হবে তার একটা তালিকা করুন। ডেস্কের পাশেই থাকুক সেই তালিকা। যে কাজগুলি সারা হয়ে যাচ্ছে, সেগুলিকে তালিকা থেকে বাদ দিন।

আসা যাক ডে টু ডে অপারেশনে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দিনের প্রথম দু’তিন ঘণ্টার সঠিক ব্যবহার জানা খুব জরুরি। অনেকেই এই সময়টা ভুল ভাবে অপচয় করে ফেলেন। তার পরে আর গোছাতে পারেন না।

আরও পড়ুন, কান্না চেপে রাখেন? এই অসুখের কবলে পড়তে পারেন আপনিও

• নিজের জন্য কতটা সময় ব্যবহার করবেন ঠিক করুন। টিফিন ও সহকর্মীর সঙ্গে আড্ডার জন্য কতটা সময় ব্যয় করলে আপনার কাজ শেষ করতে সমস্যা হবে না, সেটা স্থির করুন। প্রথম কয়েক দিন ঘড়ি ধরে তা মেনে চললেই আপনার অভ্যাস তৈরি হয়ে যাবে।

'না' বলতে শিখুন। অনেকেই সৌজন্যের খাতিরে না বলতে পারেন না। অন্যের কাজের বোঝাও নিয়ে নেন। অফিসে এই অপেশাদারিত্বের মাসুল দিতে হয় নিজেকেই।

ডেস্ক গুছিয়ে রাখুন। নিজের পরিপাটি বসার জায়গা অফিসে আপনাকে আরও বেশি ঝরঝরে রাখবে।

কাজের সময়ে অন্য দিকে মন দেবেন না। নিজস্ব কেবিন থাকলে ‘ডু নট ডিস্টার্ব’ বোর্ড ঝোলান। সহকর্মীর সঙ্গে পাশাপাশি বসতে হলে প্রথম কয়েক দিন কানে হেডফোন গুঁজতে পারেন।

আরও পড়ুন, বাড়ছে গরম, কেমন সানগ্লাস কিনলে বাঁচবে ত্বক ও চোখ?

মোবাইল অ্যাপে প্রয়োজনীয়তার নিরিখে অ্যালার্ম সেট করুন। অ্যাপয়ন্টমেন্ট রিমাইন্ডার থাকলে শেষ মুহূর্তে হাসফাঁস অবস্থা হবে না। দিনের মাঝে একবার অ্যালার্ম বাজলে আপনি কত দূর এগোলেন তার মূল্যায়ণ করতে পারবেন সহজেই।

সপ্তাহান্তে নিজেকে নম্বর দিন। প্রথমেই সপ্তাহে ছয় দিন ঠিক সময়ে বেরোতে পারবেন না। নিজের ওপর চাপ না বাড়িয়ে ধীরে ধীরে পারফরম্যান্সের উন্নতি করুন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement