যক্ষা-হৃদরোগ-শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ। এমন আট-নটি রোগই আমাদের ঘিরে ফেলছে। কুরে-কুরে খাচ্ছে। প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যে। এই ভারতে।
যেন রোগের ‘মহাভারত’! তা সে পুরুষই হোন বা মহিলা। মহিলারা খুশি হতে পারেন! পুরুষদের চেয়ে এ দেশে তাঁদের আয়ু যেমন একটু বেশি বেড়েছে, তেমন প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যেও সুস্বাস্থ্য নিয়ে আরও বেশি দিন টিঁকে থাকার দৌড়েও তাঁরা পুরুষদের হারিয়ে দিয়েছেন। তবে মহিলাদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্যও একটি তথ্য রয়েছে। তা হল, প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যে তাঁরা আরও বেশি করে ডায়ারিয়ার মতো রোগে অসুস্থ হয়ে থাকছেন।
এটি একটি সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল। ৩০৬ টি রোগের উপর ১৮৮টি দেশে ওই গবেষণাটি করা হয়েছে, ১৯৯০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত। গবেষণাটি চালিয়েছে একটি আন্তর্জাতিক কনসর্টিয়াম। যার নেতৃত্বে রয়েছে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশান (আইএইচএমই)। ওই গবেষণা-প্রকল্পে রয়েছে পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া (পিএইচএফআই)-ও। গবেষণার ফলাফলটি খুব সম্প্রতি ‘দ্য ল্যান্সেট’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে, প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যে পৌঁছে ভারতীয় পুরুষরা মূল যে তিনটি কারণে দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে থাকছেন, তার মধ্যে এক নম্বরে রয়েছে তাঁদের নিজেদের দোষ। মানে, মাঝবয়স পর্যন্ত তাঁরা যে ভাবে চলেছেন, তাঁদের খাদ্য ও পান করার অভ্যাস তার মাশুল গুণে নিচ্ছে। এই ‘সেল্ফ-হার্ম’-এর ফলে অসুস্থ হওয়ার হার এ দেশে বেড়েছে প্রায় ১৫০ শতাংশ। হৃদরোগে প্রায় ৮০ শতাংশ আর সেরিব্রোভাসক্যুলার ডিজিজ-এ ৬০ শতাংশ। ভারতীয় মহিলাদের ক্ষেত্রে খুব স্বাভাবিক ভাবেই ‘সেল্ফ-হার্ম’ আদৌ কোনও ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠছে না। তাঁরা বেশি করে ভুগছেন অবসাদজনিত রোগে, ৬৬ শতাংশেরও বেশি। আর ভুগছেন সেরিব্রোভাসক্যুলার ডিজিজ-এ, প্রায় ৩৭ শতাংশ।