Inspirational story

Inspirational Story: ফুল বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা রোজগার, দুই বোনের কীর্তিতে গর্বিত পরিবার

বেঙ্গালুরুর যশোদা ও রেহা যথাক্রমে ওয়াশিংটন ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। দু’জনে মিলে খুলেছেন ‘হূভু’ নামক ফুল বিক্রয়কারী সংস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ১৪:৩৬
Share:

বার্ষিক আয়েরর অঙ্ক ছুঁয়েছে ৮ কোটি টাকা! ছবি: সংগৃহীত

মা এক দিন পুজো দেওয়ার সময়ে অনুযোগের সুরে বলেছিলেন, রোজকার পুজোর আগে পছন্দসই ফুল না পাওয়ার কথা, আর তা থেকেই অনুপ্রেরণা নিয়ে দুই বোন খুলে ফেললেন ফুলের ব্যবসা। করলেন মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে রোজ বাড়ি বাড়ি ফুল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও। আর সেই ব্যবসাতেই তাঁদের বার্ষিক রোজগারের অঙ্ক ছুঁয়েছে ৮ কোটি টাকা!

Advertisement

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

বেঙ্গালুরুর দুই বোন যশোদা ও রেহা কারতুরি ২০১৯ সালে যৌথ ভাবে একটি ফুল বিক্রয়কারী সংস্থা খোলার সিদ্ধান্ত নেন, সংস্থার নাম রাখেন ‘হূভু’। কন্নড় ভাষায় হূভু শব্দের অর্থ ফুল। ২৭ বছর বয়সি যশোদা জানিয়েছেন, ব্যবসা শুরুর কথা মাথায় আসার পর প্রথমেই ফুলের বাজার নিয়ে গবেষণা করেন তিনি। তাতেই বুঝতে পারেন, ফুলের চাহিদা আর জোগানের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। ১০ লাখ টাকা মূলধন নিয়ে শুরু হয় তাঁদের যাত্রা। ঠিক যে ভাবে দুধ কিংবা খবরের কাগজ রোজ সকালে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যায়, কার্যত সে ভাবেই মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে ক্রেতার পছন্দসই ফুল রোজ তাঁরা পৌঁছে দেন তাঁদের বাড়িতে।

তবে ফুলের ব্যবসা রয়েছে তাঁদের রক্তেই। দুই বোনের বাবা রাম কারুতুরির ভারত, কেনিয়া ও ইথিওপিয়াতে গোলাপ খেত রয়েছে। নব্বইয়ের দশকে কেনিয়ার এই গোলাপ খেতটিই ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গোলাপ খেত। ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাস করা যশোদা জানান আগের কয়েক দশকের তুলনায় অনেকটাই বদলে গিয়েছে ফুলের ব্যবসা। আগে ফুলের তোড়ার প্রচলন বেশি থাকলেও বর্তমানে গার্হস্থ্য ব্যবহার বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। রোজ পুজো দেওয়ার জন্য এখন বাজার থেকেই ফুল কেনেন মানুষ। পাশাপাশি, ঘর ও গাড়ি সাজাতেও বাড়ছে ফুলের ব্যবহার। তাই এই নতুন সংস্থার মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি ফুল পৌঁছে দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি ভারতীয় ফুলের বাজারের একটি বড় অংশই এখনও অসংগঠিত। তাঁরা এই অসংগঠিত ক্ষেত্রটিকে সংগঠিত করতে চান বলেও জানান তিনি। ইতিমধ্যেই কর্নাটক, তামিলনাড়ু ও কেরলের ৫০ জন ফুলচাষির সঙ্গে চুক্তি করেছেন তাঁরা। দুই বোন জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রতি মাসে প্রায় দেড় লক্ষ বরাত পাচ্ছেন তাঁরা। দুই মেয়ের এমন কাণ্ডে খুশি পরিবারের সকলেই।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন