মাটি থেকে পুষ্টিগুণ শোষণ করে গাছ। তবে কখনও সেই পুষ্টিও কম পড়ে। তখনই আলাদা করে দরকার হয় গাছের খাবারের, যা হল সার। গাছের বাড়বৃদ্ধির জন্য রকমারি রাসায়নিক সার বাজারেই মেলে। কিন্তু তা পরিবেশবান্ধব নয়। তা ছাড়া, রাসায়নিক সারে ফলানো সব্জিপাতিও ভাল করে না ধুয়ে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।
তাই শখের বাগানের গাছের সার বরং জোগাড় করুন হেঁশেল থেকে। রান্নাঘরে সব্জি, ডিমের খোসাগুলি তো ফেলে দেন। তবে এই আপাত অপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলি হতে পারে গাছের খাবার।
ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় থাকে ক্যালশিয়াম। গাছের বেড়ে ওঠার জন্য এই উপাদানটিও খুব জরুরি। ডিমের খোসা গুঁড়িয়ে মাটিতে ছড়িয়ে দিতে পারেন। শিকড় পচে যাওয়া থেকে গাছকে রক্ষা করতে সাহায্য করে ক্যালশিয়াম। চারা বসানোর আগে মাটি প্রস্তুত করার দরকার হয়। সেই সময় ডিমের খোসা গুঁড়িয়ে মাটিতে মিশিয়ে দিতে পারেন। টম্যাটো, বেগুন গাছ, গোলাপ, চন্দ্রমল্লিকা-সহ সব্জি এবং ফুলের গাছে এই সার ভাল কাজ করে।
চা পাতা: দুধ-চিনি দিয়ে করা চায়ের পাতা কিন্তু গাছের জন্য উপকারী নয়। বরং দুধ চিনি ছাড়া করা চায়ের পাতা সার হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে। চায়ের পাতা শুকিয়ে নিন। মাটিতে মিশিয়ে দিলে এমনিতেই সার তৈরি হয়ে যাবে। গোলাপ গাছ, অ্যাজেলিয়া, টম্যাটো গাছে এই সার দেওয়া যায়।
কলার খোসা: পটাশিয়াম এবং ফসফরাস মেলে কলার খোসায়। কলা পচিয়ে তরল জৈব সার তৈরি করতে পারেন। একটি কৌটোয় কলার খোসা এবং জল মিশিয়ে রাখুন। সাত দিন ধরে পচতে দিন। তার পর কলার খোসা পচা জল পরিষ্কার জলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে দিন। সেই জলটি সার হিসাবে প্রয়োগ করুন। করবী, জুঁই, কাঁচালঙ্কা, উচ্ছে, টগর-সহ একাধিক ফুল, সব্জির গাছে এই সার প্রয়োগ করতে পারেন।