Lifestyle News

বাচ্চাকে নিজেদের ঘর গুছিয়ে রাখতে শেখান, জেনে নিন ৫ টিপ্‌স

নিজেরা যেমন গুছিয়ে রাখতে পারে না, তেমনই মা-বাবারাও কাজ সামলে ওদের ঘর গুছিয়ে দেওয়ার সময় পান না। অগোছালো ঘরে বড় হতে থাকলে কিন্তু বাচ্চা বড় হয়েও ঘর অগোছালো রাখবে। বাচ্চাকে ছোট থেকেই ঘর গুছিয়ে রাখতে শেখালে বড় হয়ে নিজেরাই গুছিয়ে রাখবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৭ ১৪:০৪
Share:

বাচ্চাকে ছোট থেকেই ঘর গুছিয়ে রাখতে শেখালে বড় হয়ে নিজেরাই গুছিয়ে রাখবে।

বাচ্চাদের ঘর গুছিয়ে রাখা বেশ কষ্টকর কাজ। খেলনা, বই-খাতা ছড়িয়ে রাখে বাচ্চারা। নিজেরা যেমন গুছিয়ে রাখতে পারে না, তেমনই মা-বাবারাও কাজ সামলে ওদের ঘর গুছিয়ে দেওয়ার সময় পান না। অগোছালো ঘরে বড় হতে থাকলে কিন্তু বাচ্চা বড় হয়েও ঘর অগোছালো রাখবে। বাচ্চাকে ছোট থেকেই ঘর গুছিয়ে রাখতে শেখালে বড় হয়ে নিজেরাই গুছিয়ে রাখবে। জেনে নিন কী ভাবে ওদের ঘর গুছিয়ে রাখবেন।

Advertisement

খেলনা

লেগো, অ্যাকশন গেম বা ডলের ক্ষেত্রে ওয়ান ইন-ওয়ান-আউট নিয়ম মেনে চলুন। যখনই নতুন কোনও খেলনা কেনা হবে পুরনো খেলনা কাউকে বের করে কাউকে দিয়ে দিন বা, ভেঙে যাওয়া কোনও খেলনা ফেলে দিন। কারণ বাচ্চারা কখনই একই খেলনা নিয়ে বেশি দিন খেলে না। নতুন খেলনা আসতে থাকলে পুরনো খেলনার প্রতি ওরা উত্সাহ হারিয়ে ফেলে। তাই এ ভাবে কখনই বাড়িতে অপ্রয়োজনীয় খেলনা জমে যাবে না। বাচ্চার ঘরের জন্য ট্রান্সপারেন্ট বক্স কিনে আনুন। যাতে বাইরে থেকেই খেলনাগুলো দেখা যায়। যে খেলনা প্রয়োজন সেটা বের করতে গিয়ে যাতে সব ঘাঁটতে না হয়।

Advertisement

বই

আলাদা আলাদা সেলফে ছবির বই, গল্পের বই, রিডিং মেটিরিয়াল রাখুন। কালার কো়ড মেনেও সাজাতে পারেন। এ ভাবে সাজিয়ে রাখা অভ্যাস করালে বাচ্চা বড় হলে নিজেই সাজিয়ে রাখবে। যে বই বাচ্চা এক বছরের বেশি পড়েনি সেই বই কোনও বুক ব্যাঙ্কে দিয়ে দিতে পারেন।

জামা-কাপড়

বাচ্চারা তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। তাই জামা-কাপড় দ্রুত ছোট হয়ে যায়। এই সব জামা-কাপড় জমিয়ে রেখে কোনও লাভ নেই। কাউকে দিয়ে দিন। পরিবারের মধ্যে ছোট কাউকে দিতে পারেন। না হলে দুঃস্থ শিশুদের মধ্যেও দিয়ে দিতে পারেন। জিনিসটাও কাজে লাগবে, বাড়িতে জঞ্জালও হবে না।

আরও পড়ুন: বর্ষায় ডায়রিয়া থেকে সাবধান থাকতে খাওয়ার সময় এগুলো মাথায় রাখুন

গ্যাজেট

আইপ্যাড, আইপড বা ভিডিও গেমস আজকাল খেলনার মতোই গুরুত্বপূর্ণ বাচ্চাদের কাছে। বেশির ভাগ সময়ই বাচ্চারা তার, চার্জার, অ্যাডপটর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখে। যা বিপজ্জনকও হয়ে উঠতে পারে। তাই আলাদা টেক ড্রয়ার রাখুন। সেখানেই সব গ্যাজেট, চার্জার রাখতে শেখান বাচ্চাকে। এতে ঘর পরিষ্কারও থাকবে, বাচ্চার জন্যও নিরাপদ হবে।

আসবাব

জামা-কাপড় বা খেলনার মতোই বাচ্চাদের ঘরে আসবাবপত্র বেশি হয়ে গেলে ওদেরই চলাফেরা, খেলা করতে মুশকিল। ঘর বেশি ছড়ানো-ছেটানো থাকলে বাচ্চারা পড়াশোনাতেও মনোনিবেশ করতে পারে না। হয়তো বাচ্চা বড় হয়ে গিয়েছে, অথচ ছোটবেলার রকার, ওয়াকার, চেয়ার এখনও ঘরে রয়ে গিয়েছে। এগুলো সরিয়ে ফেলুন। বাচ্চার ঘরে রাখার জন্য ফোল্ডেবল ফার্নিচার কিনুন। যাতে ঘর গোছানো লাগে দেখতে, জায়গা বাড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন