আঙুর কিনে এনে শুধু জলে ধুয়ে খাবেন না, কী করণীয় জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
আঙুরের মরসুম চলছে। বাজারে টাটকা আঙুরই পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু খাদ্যের গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এফএসএসএআই)জানাচ্ছে, বাজারে বিক্রি হওয়া অনেক আঙুরই তাজা দেখাতে তাতে কৃত্রিম রং বা রাসায়নিক মেশানো হয়। তা ছাড়া কীটনাশকের কারণেও আঙুরে মেশে নানা ধরনের রাসায়নিক। তাই কিনে এনে কেবল জলে ধুয়ে নিলে তার থেকে কীটনাশক দূর না-ও হতে পারে। সেই আঙুর খেলে বা ছোটদের খাওয়ালে শরীরের ক্ষতি হতে বাধ্য।
‘এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (এপিইডিএ)-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের বাজারে বিক্রি হওয়া আঙুর বা ফল তেমন ভাবে নিরীক্ষণ করা হয় না। তাই সে সব ফলে কীটনাশকের বাড়বাড়ন্ত ধরাও পড়ে না। কীটনাশক খাবারের মাধ্যমে শরীরে পৌঁছোলে, তা রক্তের সঙ্গে মিশে নানা রকম রোগের জন্ম দেয়। হরমোনের তারতম্য দেখা দিতে পারে, স্নায়ুর কার্যকারিতাও বিঘ্নিত হয়। শুধু তা-ই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে এই বিষ শরীরে মিশতে থাকলে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই ফল থেকে কীটনাশক কী ভাবে দূর করবেন, তা জেনে রাখা ভাল।
১) কীটনাশক দূর করার সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি হল নুন-জলে আঙুর ডুবিয়ে রাখা। অন্তত আধ ঘণ্টা নুন-জলে আঙুর ভিজিয়ে রেখে তার পর পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিলে ফলের গায়ে লেগে থাকা রাসায়নিক অনেকটাই দূর হয়ে যাবে।
২) দোকান থেকে কিনে আনা রাসায়নিক মিশ্রিত কোনও দ্রবণে সব্জি ধোবেন না। বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন বেকিং সোডা ও জলের দ্রবণ। এই দ্রবণে আঙুর ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। তার পর সেটি তুলে নিয়ে পরিষ্কার কলের জলে ধুয়ে নিন। ৯০ শতাংশ কীটনাশক ধুয়ে বেরিয়ে যাবে।
৩) সম পরিমাণে জল ও ভিনিগার মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করুন। এই দ্রবণে এক চিমটে নুন মিশিয়ে দিন। এ বার আঙুরের থোকা তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট। তার পর দ্রবণ থেকে তুলে পরিষ্কার জলে ভাল করে ধুয়ে নিন।