Lifestyle News

দুর্ঘটনায় পড়লে এই ১১টি গাড়ি সবচেয়ে নিরাপদ

সারা বিশ্বেই প্রতি দিন ঘটে চলেছে হাজার হাজার পথ দুর্ঘটনা। কখনও বেঘোরেই চলে যাচ্ছে প্রাণ, কখনও বা যানের গুণে অল্প আঘাতের উপর দিয়েই কেটে যাচ্ছে দুর্ঘটনার ফাঁড়া। দুর্ঘটনা রুখতে গাড়ির সেফটি টেকনোলজি নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ১৭:১৮
Share:

সারা বিশ্বেই প্রতি দিন ঘটে চলেছে হাজার হাজার পথ দুর্ঘটনা। কখনও বেঘোরেই চলে যাচ্ছে প্রাণ, কখনও বা যানের গুণে অল্প আঘাতের উপর দিয়েই কেটে যাচ্ছে দুর্ঘটনার ফাঁড়া। দুর্ঘটনা রুখতে গাড়ির সেফটি টেকনোলজি নিয়ে সতর্কতা বাড়ছে। বিশ্বের সবচেয়ে নামী সংস্থাগুলিও সেফটি টেস্ট পাস না করায় বাজার থেকে তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে তাদের একাধিক বিলাসবহুল মডেল। সম্প্রতি পথ দুর্ঘটনায় মডেল সোনিকা সিংহ চৌহানের মৃত্যু গাড়ির সেফটি টেকনোলজি নিয়ে টনক নড়িয়ে দিয়েছে এ রাজ্যেরও।

Advertisement

দুর্ঘটনার কবলে পড়লে যাত্রীদের জীবন রক্ষা করতে যে গাড়ি যত সক্ষম সেই গাড়ি তত নিরাপদ। আমেরিকার ইনসিওরেন্স ইন্সটিটিউট ফর হাইওয়ে সেফটি (আইআইএইচএস) প্রকাশ করেছে ২০১২-১৫ সাল পর্যন্ত ফেডারেল গভর্নমেন্ট অটো ফেসিলিটি ডেটা। রয়েছে এমনই ১১টি গাড়ির নাম যেই গাড়িগুলোতে গত চার বছরে দুর্ঘটনায় পড়লে মৃত্যুর কোনও খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে কোনও রিপোর্টে নিরাপদ গাড়ির তালিকায় এতগুলো গাড়ি এক সঙ্গে জায়গা করে নিতে পারেনি।

তালিকা দেখলেই বুঝতে পারবেন ছোট বা সাবকমপ্যাক্ট গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ এসইউভি। পদার্থ বিজ্ঞানের সহজ নিয়মেই স্পষ্ট এর কারণ। দুটো গাড়ি আলাদা আলাদা ভাবে ক্রাশ টেস্টে ভাল ফল করলেও যখন মুখোমুখি সংঘর্ষের মুখে পড়বে, তখন অপেক্ষাকৃত ছোট ও হালকা গাড়িরই বেশি দুরবস্থা হবে।

Advertisement

উল্টো দিকে, এই চার বছরেই যেই গাড়িগুলোতে দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে তার সবকটিই ছোট গাড়ি। এই তালিকায় প্রথম তিনটি নাম হুন্ডাই অ্যাকসেন্ট, কিয়া রিও ও টয়োটা সিওন টিসি। এ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে আরও অনেক নাম। সতর্ক বার্তা একটাই। এই সব গাড়িতে উঠলে দুর্ঘটনায় পড়লে মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

আরও পড়ুন: ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করেন? সাবধান

আইআইএইচএস-এর তথ্য জানাচ্ছে, প্রমাণ মাপের এসইউভি সবচেয়ে নিরাপদ। এই মডেলে পৃথিবীতে বছরে প্রতি ১০ লক্ষ রেজিস্টার্ড ভেহিক্যালে মৃত্যুর সংখ্যা মাত্র ৬। যেখানে ফোর ডোর সাবকমপ্যাক্স গাড়ির ক্ষেত্রে এই হিসেবে বছরে গড়ে ৭৮।

তবে আশার কথা হল, ছোট গাড়িও ক্রমশ আরও নিরাপদ হচ্ছে। ২০১১ সালের হুন্ডাই অ্যাক্সেন্টের মডেলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর যে হার ছিল, ২০১৪-র মডেলে কমেছে সেই হার। একই কথা বলছে কিয়া রিও-র রিপোর্টও। ২০১২ সালে রিডিজাইন করার পর কমেছে দুর্ঘটনায় মৃত্যু। বাজারে আসতে চলেছে রিও-র আরও একটি নতুন মডেল। যা আরও নিরাপদ হতে চলেছে বলে জানিয়েছেন কিয়ার মুখপাত্র জেমস বেল। এই মডেলে থাকবে হাই-স্ট্রেংথ স্টিল ও অটোমেটিক এমার্জেন্সি ব্রেকিং সেফটি টেকনোলজি।

ক্রাশড সেফটি টেকনোলজি না থাকায় বাজার থেকে তাদের সিওন টিসি মডেল তুলে নিয়েছে টয়োটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন