Kajol

ভাল মা মানেই সন্তানকে স্কুলে নিতে যাওয়া আর টিফিন বানিয়ে দেওয়া নয়: কাজল

অভিনেত্রী মনে করেন, ‘ভাল মা’ হয়ে ওঠার চাপটা কখনওই কমতে চায় না মহিলাদের উপর থেকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৬
Share:

কাজল দেবগণ।

সমাজ অনেক কিছু শেখাতে চায়, তবে সে সব নিয়ম শুনে এবং মেনে মোটেই ‘ভাল মা’ বা ‘মন্দ মা’ হওয়া যায় না! মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী কাজল। সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন মাতৃত্ব বিষয়ে তাঁর মা অভিনেত্রী তনুজার দেওয়া কিছু উপদেশও।

Advertisement

কাজল এমনই এক অভিনেত্রী যিনি বলি-জগতে সেই নব্বইয়ের দশক থেকে এখন পযর্ন্ত নিজের গুরুত্ব ধরে রেখেছেন সমান ভাবে। ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’-এর সিমরন, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’-র সেই অঞ্জলির পরিচয় পেরিয়ে সাম্প্রতিক ওয়েব সিরিজ ‘ত্রিভঙ্গ’-তে অনুরাধা নামক এক মায়ের ভূমিকায় তিনি। তা ঘিরেই কথা ওঠে অভিভাবকত্ব নিয়ে। অভিনেত্রী মনে করান, ‘ভাল মা’ হয়ে ওঠার চাপটা কখনওই কমতে চায় না মহিলাদের উপর থেকে। সন্তানকে স্কুল থেকে নিতে না গেলে, তার জন্য নিজে হাতে টিফিন না বানালে মহিলাদের আর ‘ভাল মা’ হয়ে ওঠা হয় না। ফলে সমস্যা হল এই যে, খারাপ মা বানিয়ে দেওয়ার কারণের অভাব ঘটে না। এ দিকে, ভাল মা হয়ে ওঠার মতো উপলক্ষের বড়ই অভাব! ‘‘এ দিকে মেয়েদের উপরে সমাজের এক সাঙ্ঘাতিক চাপ থাকে ভাল মা হয়ে ওঠার জন্য,’’ বলেন অভিনেত্রী।

চাকরিরতা মা এবং দিনভর বাড়িতে ব্যস্ত থাকা মায়েদের মধ্যে সামাজিক বিভাজন প্রসঙ্গেও কথা তোলেন কাজল। যে মায়েরা বাইরে কাজ করেন, তাঁরা কখনও কখনও গৃহবধূদের নিচু চোখে দেখেন বলে মনে করান অভিনেত্রী। আবার সেই চাকরিরতারাই চিন্তিত থাকেন নিজের সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারছেন কি না, তা ভেবে। সে প্রসঙ্গ টেনেই কাজল বলেন, ‘‘যে মহিলারা বাড়িতেই থাকেন, দিনভর সন্তানের যত্ন নেন, তাঁদের আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি। তাঁদের মতো ক্ষমতা সকলের থাকে না!’’

Advertisement

কথায় কথায় কাজল মনে করান, মাতৃত্ব সংক্রান্ত বই পড়ে বেশি কিছু শেখা যায় না। শিশুর পোশাক বদলানো মোটেই মায়েদের একমাত্র কাজ নয়। বই ওইটুকুই শেখায়। বাকি তো নিজেকেই বুঝে বুঝে নিতে হয় বলে মন্তব্য করেন বাস্তবে দুই সন্তানের মা কাজল। অভিভাবকত্ব সম্পর্কে নিজের মায়ের থেকে কী শিখেছেন, তিনি বললেন সে সূত্রেই।

মা তনুজা তাঁকে শিখিয়েছেন, সন্তানকে নিজের প্রয়োজন এবং ভাল-মন্দ বুঝতে শেখাতে হবে। একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সন্তান সে বিষয়ে স্বচ্ছন্দ থাকতে পারছে কি না, সেটি দেখাই অভিভাবকের কাজ। দুই সন্তান যুগ আর নাইসাকে বড় করার ক্ষেত্রে নিজের মায়ের দেওয়া এমনই উপদেশ মেনে চলেছেন কাজল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন