King Charles

ইস্ত্রি করা হয় জুতোর ফিতে, ব্রাশে পেস্ট লাগিয়ে দেন কর্মচারী! রাজা চার্লসের রাজকীয় সব অভ্যাস

শনিবারই ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। বরাবরই চার্লস শৌখিন মানুষ। প্রায় কোনও কাজই তিনি নিজের হাতে করেন না। অন্তত তেমনই জানালেন রাজবাড়ির প্রাক্তন কর্মচারীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:১৮
Share:

শনিবারই ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। ছবি- সংগৃহীত

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর শনিবারই ইংল্যান্ডের নতুন রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। সম্প্রতি তাঁর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। দেখা যায় যে টেবিলে চার্লস বসছেন, সেই টেবিলের উপর রাখা একটি পেন সরাতে এক কর্মীকে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। নিজের হাতে সরাচ্ছেন না। ভিডিয়ো দেখে অনেকে প্রশ্ন করেছিলেন, তবে কি সিংহাসনে বসেই বেড়ে গেল তাঁর বায়নাক্কা?

Advertisement

যাঁরা ব্রিটেনের রাজপরিবারের অন্দরমহলের খবর রাখেন, তাঁদের একাংশ অবশ্য বলছেন, সিংহাসনে বসার পর নয়, বরাবরই চার্লস শৌখিন মানুষ। প্রায় কোনও কাজই তিনি নিজের হাতে করেন না। ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি তথ্যচিত্রে রানি এলিজবেথ ও যুবরানি ডায়ানার খানসামা হিসাবে দীর্ঘ দিন কাজ করা পল বারেল জানান, দাঁত মাজার ব্রাশে পেস্টও নিজের হাতে লাগান না চার্লস। তার জন্যও রয়েছে আলাদা লোক। এখানেই শেষ নয়, ব্রাশে ঠিক এক ইঞ্চি পেস্ট লাগাতে হয়। কমবেশি হওয়া পছন্দ করেন না তিনি।

Advertisement

রাজবাড়ির কর্মচারীদের প্রতি দিন সকালে ইস্ত্রি করে দিতে হয় চার্লসের রাতের পাজামা। শুধু পোশাকই নয়, চার্লসের জুতোর ফিতেও নাকি ইস্ত্রি করা হয় রোজ! যে বাথটবে চার্লস স্নান করেন, তাতে ঠিক কতটুকু জল থাকবে কিংবা জলের উষ্ণতা কত হবে, সবই নির্দিষ্ট।

খাবারের ব্যাপারেও একই রকম ‘নিয়মানুবর্তী’ চার্লস। রাজপরিবারের প্রাক্তন রাঁধুনি গ্রাহাম নিউবোল্ড সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, জলখাবার রাখার জন্য চার্লসের একটি নির্দিষ্ট বাক্স রয়েছে। সব জায়গায় সেই বাক্স নিয়ে যান তাঁর কর্মচারীরা। সেই বাক্সে থাকে ছ’রকমের মধু। বাড়িতে তৈরি বিশেষ পাউরুটি ছাড়া অন্য কোনও পাউরুটি মুখে রোচে না চার্লসের। যে চিজ ও কুকি চার্লস খান, তা-ও হতে হয় নির্দিষ্ট উষ্ণতার। সব বিষয়ে নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে চার্লস এতই সচেতন যে, শৌচালয় ব্যবহারের সময়েও তার ব্যতিক্রম হয় না। রাজা যে কমোড ব্যবহার করেন, তার আকারও নাকি নির্দিষ্ট। তাই তিনি যেখানেই যান, সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়া হয় কমোডের উপর পাতার বিশেষ আসন। শৌচাগারে যে টিস্যু কাগজ ব্যবহার করেন, তার ব্যাপারেও বেশ একরোখা সদ্য সিংহাসনে বসা ব্রিটেনের রাজা। একটি বিশেষ সংস্থার তৈরি বেগুনি রঙের টিস্যু কাগজ ছাড়া চলে না তাঁর। রাজবাড়ির এক কর্মচারী এমনটাই জানিয়েছেন এক ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন