ramayana

বহু বাধা পেরিয়ে উর্দুতে রামায়ণ অনুবাদ মুসলিম কন্যার

হিন্দিতে রামায়ণ পড়ে তা অনুবাদের ইচ্ছে জাগে এই মুসলিম তরুণীর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৮ ১৭:৫৪
Share:

রামায়ণের সারকথাই মন টানে মাহির।

এ যেন সম্প্রীতির আকালেও সাম্প্রদায়িক মিলনের নজির। সামাজিক বাধা তুচ্ছ করে মুসলিমের হাতে হিন্দু মহাকাব্যের অনুবাদ!

Advertisement

কানপুরের মাহি তালাত সিদ্দিকির ঘরে থরে থরে বই সাজানো। কোনওটা ভারতীয় পুরাণ, কোনওটা আবার দর্শন সাহিত্য। হিন্দি সাহিত্যের মেধাবী ছাত্রীটির রয়েছে অনুবাদের নেশা। এ বার সেই নেশাকে কাজে লাগিয়েই মাতৃভাষা উর্দুতে ‘রামায়ণ’ অনুবাদ করে ফেললেন মাহি।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্য মাহিকে চিনে ফেলেছে এই কাজের জন্য। সামাজিক বাধা কেমন ছিল? মাহির কথায়, তা এরটা সময় তীব্র ছিল বইকি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে সে সব। কিন্তু সব প্রতিকূলতা সরাতে তাঁর পরিবারকে পাশে পেয়েছেন তিনি। কাজ শেষ হওয়ার পর স্থানীয় প্রশাসন ও বিদ্বজ্জনদের থেকেও মিলেছে স্বীকৃতি।

Advertisement

আরও পড়ুন: সম্পর্ক ভাঙলেই হালকা হচ্ছে পকেট, চিনে চালু ‘ব্রেক আপ ফি’

এল আধারের বিকল্প, ভিআইডি দিয়েই সারুন সব কাজ

দু’-বছর আগে, কানপুরের বাসিন্দা বদরিনারায়ণ তিওয়ারি, মাহি তালাতকে হিন্দিতে অনুবাদ হওয়া রামায়ণের একটি কপি দিয়েছিলেন, সেটি পড়েই তিনি উর্দুতে রামায়ণ অনুবাদের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু হঠাৎ রামায়ণ অনুবাদের সিদ্ধান্ত কেন নিলেন মাহি? জানিয়েছেন, হিন্দু মহাকাব্য হলেও এর মধ্যে ভারতীয় পরিবারতন্ত্র, সামাজিক গঠন ও ভ্রাতৃত্বকে যে মর্যাদায় বসানো হয়েছে, এই অস্থির সময়ে তা জাতি-ধর্ম নির্বিচার সকলের জানা উচিত। তাই এই কাজে হাত দিয়েছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী এই তরুণী। এতে তাঁকে সাহায্য করেছেন তাঁর মা মেহেল্লা এজাজ সিদ্দিকি। তিনি হালিম মুসলিম ডিগ্রি কলেজের উর্দু বিভাগের প্রধান। এই অনুবাদ করতে মাহি তালাতের সময় লেগেছে প্রায় দেড় বছর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement