আজ থেকে চালু জেলার স্বাস্থ্য ভবন

এতদিন জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগ চলত ভাড়া বাড়িতে। খোদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসও ভাড়া বাড়িতেই ছিল। অবশেষে সব অফিস এক ছাদের তলায় আসছে। মেদিনীপুর শহরের শরত্‌পল্লিতে গড়ে উঠেছে জেলা স্বাস্থ্য ভবন। আজ, শুক্রবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানস্থল থেকে নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৫ ০১:৩২
Share:

মেদিনীপুরের শরৎপল্লিতে স্বাস্থ্য ভবন। নিজস্ব চিত্র।

এতদিন জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগ চলত ভাড়া বাড়িতে। খোদ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসও ভাড়া বাড়িতেই ছিল। অবশেষে সব অফিস এক ছাদের তলায় আসছে। মেদিনীপুর শহরের শরত্‌পল্লিতে গড়ে উঠেছে জেলা স্বাস্থ্য ভবন। আজ, শুক্রবার কলকাতায় কেন্দ্রীয় কন্যাশ্রী দিবসের অনুষ্ঠানস্থল থেকে নবনির্মিত ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশচন্দ্র বেরা বলেন, “এক জায়গায় জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগগুলো চলে আসার ফলে কাজকর্মের সুবিধেই হবে।”
শরত্‌পল্লিতে তিনতলা এই ভবনটি তৈরি করতে খরচ হয়েছে দু’কোটিরও বেশি টাকা। রয়েছে অত্যাধুনিক কনফারেন্স হল। আধিকারিকদের ঘরগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তার কথায়, “এক ছাদের তলায় সব প্রশাসনিক বিভাগ আনা খুব দরকার ছিল। না হলে কাজে সমস্যা হয়। যে কোনও দিন বৈঠক ডাকাও যেত না। বৈঠক ডাকার আগে দেখতে হত, ওই দিন নির্দিষ্ট সভাকক্ষ খালি রয়েছে কি না। এ বার অন্তত সেই সমস্যা হবে না। নতুন ভবনের কনফারেন্স রুমটা বেশ বড়। একসঙ্গে অনেকে থাকতে পারবেন।”
এতদিন বিভিন্ন বিভাগ ভাড়া বাড়িতে চলত। ফলে, বাড়ি ভাড়া বাবদই স্বাস্থ্য দফতরের লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে যেত। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস ছিল জেলা পরিষদ ভবনে। ভবনের তিনতলায় বেশ কয়েকটি ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। ভাড়া বাবদ মাসে খরচ হত প্রায় ৬০ হাজার টাকা। অন্য দিকে, উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২), উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (৩), জেলা যক্ষ্মা আধিকারিকের অফিসও ছিল শহরের অন্যত্র, ভাড়া বাড়িতে। উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের (১) অফিস ছিল জেলা পরিষদ ভবনের তিনতলার একটি ঘরে। এই সব অফিসের ভাড়া বাবদ সবমিলিয়ে মাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়ে যেত বলেই জানাচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র। শহরের অন্যত্র যে সব বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস চলত, সেই সব বাড়ির হালও খুব একটা ভাল ছিল না। বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে জল পড়ত। চুঁইয়ে পড়া জলের হাত থেকে জরুরি কাগজপত্র বাঁচানোই দায় হয়ে উঠত। সমস্যার কথা মেনে জেলার এক স্বাস্থ্য- কর্তা বলেন, “বছরের পর বছর ধরে ওই সব বাড়িতে অফিস চলে আসছে। মাঝেমধ্যে মেরামত হত। শহরে তো ভাড়া বাড়ি পাওয়াও খুব সহজ নয়।” তাঁর কথায়, “বাড়ি ভাড়ায় নিয়ে অফিস চালানোর বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে। ভাড়ার টাকা সময় মতো না- এলে তখন সমস্যা হয়। অন্য কোনও ফাণ্ড থেকে এই টাকা দেওয়াও যায় না।” শুধু তো প্রশাসনিক দফতরগুলোর জন্যই ভাড়া গুনতে হত না। যে কোনও বৈঠক করতে হলেও সভাকক্ষ ভাড়ায় নিতে হত। জেলা পরিষদে তিনটি সভাকক্ষ রয়েছে। একটি মূল ভবনে। এখানে অবশ্য বেশি জায়গা নেই।

Advertisement

শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবনে বড় সভাকক্ষ রয়েছে। এখানে অবশ্য দু’শো- তিনশোজন ভাল ভাবেই বসতে পারেন। অন্যদিকে, জেলা পরিষদ হল অর্থাত্‌ প্রদ্যোত্‌ স্মৃতি সদনে সাতশো- আটশো লোক বসতে পারেন। জেলার ওই স্বাস্থ্য- কর্তার কথায়, “মাসে আমাদের ১৫- ২০ টাকা বৈঠক হয়ই। খুব কম হলেও সভাকক্ষের ভাড়া বাবদ মাসে ৪০- ৫০ হাজার টাকা খরচ হত। নতুন ভবন তৈরি হওয়ার ফলে এই দুই খরচই বাঁচবে।” নবনির্মিত ভবনের পাশেই রয়েছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ‘ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ স্টোর’। এখানেই ওষুধপত্র, চিকিত্‌সার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম মজুত থাকে। ফলে, এ বার থেকে বিএমওএইচরা মেদিনীপুরে বৈঠক করতে এলে সহজেই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র- সরঞ্জাম সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের আর ঘুরপথে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। এখানে আঞ্চলিক স্বাস্থ্য পরিবহণ দফতরের ভবনও গড়ে তোলা হয়েছে। আজ, শুক্রবার নবনির্মিত এই ভবনেরও দ্বারোদ্ঘাটন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি বলেন, “এখন যে ক্ষমতা রয়েছে, আগেও তা ছিল। তবে সরকারের উদ্যোগের অভাবে কাজ এগোয়নি। এক ছাদের তলায় স্বাস্থ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক বিভাগগুলো চলে আসার ফলে কাজকর্মের সুবিধেই হবে।”

সচেতনতা শিবির। আইনি সচেতনতা শিবির করল গড়বেতা ব্লকের রসকুণ্ডু হাইস্কুল। নাবালিকা বিয়ের ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। শিবিরে ছিল স্কুলের প্রায় চারশো ছাত্রী। ছিলেন আইনি সচেতনতা শিবিরের সম্পাদক এ এন ভট্টাচার্য।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন