হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রয়েছে আয়ুর্বেদ হাসপাতাল ও ইউনানি হাসপাতালও। কিন্তু এক ছাতার নীচে একই হাসপাতালে এই তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসৃত হয় এমন হাসপাতাল এ রাজ্যে ছিল না। এ বার সেটাই হতে চলেছে উত্তরবঙ্গের তপসিখাটা-য়। সেখানে একটি আয়ুষ হাসপাতাল তৈরি হবে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন আয়ুষমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
আয়ুষ, অর্থাৎ আয়ুর্বেদ, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি। উত্তরবঙ্গে প্রায় ২৫ একর জমির উপর প্রস্তাবিত আয়ুষ হাসপাতালে ৫০টি শয্যা থাকবে এবং সেখানে আয়ুষের অন্তর্গত চিকিৎসা পদ্ধতির অনেক চিকিৎসকেরই কর্মসংস্থান হবে বলে মন্ত্রী জানান। পাশাপাশি মন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যকর্তারা অবশ্য স্বীকার করেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় এটা যথেষ্ট নয়। রাজ্যের আয়ুর্বেদ, ইউনানি বা হোমিওপ্যাথি কলেজগুলি থেকে প্রতি বছর যত জন পাশ করে বার হন তাঁদের অনেকেই চাকরি পেতে গিয়ে নাজেহাল হন। সেই কারণে বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিভিন্ন ওষুধ নির্মাণ সংস্থার কাছে পাশ করা আয়ুষ চিকিৎসকদের ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানালেন খোদ আয়ুষমন্ত্রী।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আয়ুর্বেদিক ওষুধ-নির্মাতাদের ভিড়ে ঠাসা স্বাস্থ্যভবনের তিনতলার হলঘর। বৃহস্পতিবার ওই ঘরের মঞ্চ থেকে আশিসবাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত আয়ুর্বেদ ও ফার্মেসি কলেজগুলি থেকে ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে আপনারা ছেলেমেয়েদের আপনাদের সংস্থায় চাকরি দিন এটা আমাদের অনুরোধ। এতে আপনাদের পরিকাঠামো এবং ওষুধের মান অক্ষুণ্ণ রাখতে আরও সুবিধা হবে। বিনিময়ে আপনাদের সঙ্গে সরকার সবরকম সাহায্য করবে।’’