অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার। শিশুদের মধ্যে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবা, মায়েরা সঠিক সময় মতো বুঝে উঠতেই পারেন না যে সন্তান অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের শিকার। এ বার বিজ্ঞানীরা ডিজাইন করলেন এমনই এক অ্যাপ যার সাহায্যে এক মিনিটেরও কম সময়ে শিশুর চোখের মণির সঞ্চালন দেখে বোঝা যাবে শিশুর মধ্যে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের লক্ষণ রয়েছে কিনা।
অটিজম যত তাড়াতাড়ি ধরা পড়বে চিকিত্সাও তত বেশি কার্যকর হবে। কিন্ত গবেষকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই শিশু স্কুলে যাওয়া শুরু করার আগে বাবা, মা বুঝতেই পারেন না সন্তান অটিজমের শিকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাফালো ইউনিভার্সিটির অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর মিশেল হার্টলে-ম্যাকঅ্যান্ড্রু জানান, ‘‘জন্মের পর থেকে মস্তিষ্কের গঠন ও বৃদ্ধি হতে থাকে। তাই যত তাড়াতাড়ি অটিজম ধরা পড়ে চিকিত্সায় সাফল্যও তত বেশি আসে। পরিবার যত তাড়াতাড়ি সচেতন হবে থেরাপি তত তাড়াতাড়ি শুরু করা সম্ভব হবে।’’
অন্য দিকে, এসইউএনওয়াই বাফালো স্টেট কলেজের অ্যাসিসট্যান্ট প্রফেসর ক্যাথি রালাবেট ডুডি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করি অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জন্য এমন শিক্ষা পদ্ধতি তৈরি করতে যা তাদের নিজেদের সমবয়সী অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে।’’
দুই থেকে ১০ বছর বয়সী ৩২ জন শিশুর ওপর এই অ্যাপ পরীক্ষা করা হয়। যাদের মধ্যে অর্ধেক শিশুর আগেই ডাক্তারি পরীক্ষায় অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার ধরা পড়েছিল। বাকি অর্ধেক ছিল সম্পূর্ণ সুস্থ। দেখা গিয়েছে এই অ্যাপ ৯৩.৯৬ শতাংশ নির্ভুল ভাবে এই ডিজঅর্ডার নির্ধারণ করতে পেরেছে।
বাবা, মায়েরা বাড়িতে বসেই এই অ্যাপের সাহায্যে মাত্র ৫৪ সেকেন্ডের মধ্যে শিশুদের অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার পরীক্ষা করতে পারবেন। যার ফলে থেরাপি ও চিকিত্সাও তারা অবিলম্বে শুরু করতে পারবেন।
এই মুহূর্তে সারা বিশ্বে প্রতি ১,০০০ জন শিশুর মধ্যে ১-২ জন অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারের শিকার।