Tiktok

Tiktok Disaster: ‘আমি যেখানেই যাই আগুন ধরে যায়’, টিকটক করতে গিয়ে বনে আগুন দিলেন পাক অভিনেত্রী!

‘ফলোয়ার’ বৃদ্ধির নেশায় মাঝেমধ্যেই বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানা ঘটান তারকারা। এ বার ভিডিয়ো তৈরি করতে দাবানল তৈরির অভিযোগ উঠল পাক তারকার বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২২ ১১:৫৭
Share:

খ্যাতির লোভ না দায়িত্বজ্ঞানহীনতা? উঠছে প্রশ্ন ছবি: সংগৃহীত

‘বনে আগুন, মনে ফাগুন’ বোধহয় একেই বলে। পিছনে দাবানলে পুড়ছে বন, সামনে রুপোলি রঙের গাউন পরে ক্যামেরার সামনে ‘পোজ’ দিয়ে চলেছেন তিনি। পাকিস্তানের এক টিকটক তারকা হুমাইরা আসগরের এমন কাণ্ডে কার্যত ঢি-ঢি পড়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। শুধু নিন্দা নয়, বন্যপ্রাণ ধ্বংস করার অপরাধে হুমাইরাকে হাজতে ঢোকানোর দাওয়াইও বাতলে দিয়েছেন নেটাগরিকদের কেউ কেউ।

Advertisement

নেটমাধ্যমে ‘ফলোয়ার’ বৃদ্ধির নেশায় মাঝেমধ্যেই বিচিত্র সব কাণ্ডকারখানা করতে দেখা যায় এই ধরনের তারকাদের। সপ্তাহ খানেক আগেই বনে আগুন লাগিয়ে ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরেক পাক ‘টিকটকার’। ওই নেটমাধ্যমে হুমাইরার অনুরাগীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি। ‘আমি যেখানেই যাই আগুন ধরে যায়’ লিখে নেটমাধ্যমে ভিডিয়োটি প্রকাশ করেন হুমাইরা। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় ভিডিয়ো। শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। নিন্দা শুরু হতেই তড়িঘড়ি মুছে ফেলা হয়েছে ভিডিয়োটি। হুমাইরার অবশ্য দাবি, তিনি নিজে থেকে আগুন লাগাননি, পরিবেশের ক্ষতি করার কোনও ইচ্ছাও ছিল না তাঁর। টিকটক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই ধরনের ভিডিয়ো প্রকাশ করা একেবারেই নিষিদ্ধ।

এমনিতেই গ্রীষ্মের প্রখর তাপে পুড়ছে পাকিস্তান। কোনও কোনও অংশে পারদ ছুঁয়েছে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিশেষজ্ঞদের একটি বড় অংশ প্রকৃতির এই রুদ্ররূপের জন্য দায়ী করছেন অনিয়ন্ত্রিত বৃক্ষচ্ছেদনকে। পাশাপাশি প্রখর গ্রীষ্মে প্রাকৃতিক ভাবেই দাবানল তৈরির আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকটা। তার মধ্যে মানুষ যদি খ্যাতির লোভে ইচ্ছাকৃত ভাবে এই ধরনের কাণ্ড ঘটাতে থাকেন, তবে তা যে কোনও সময় বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement