বিড়াল পুষেছেন? তাকে বড় করার সময় কোন ভুল মার্জারের স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
বিড়ালছানাকে নিয়েই দিন কাটছে? কিন্তু পোষ্যের অভিভাবক হিসাবে তাকে নিয়ে খেলা করলেই হল না, সঠিক দেখভালও জরুরি। মনুষ্যসন্তানকে ঠিক যতটা যত্ন এবং সাবধানে বড় করতে হয়, একই নিয়ম খাটে পোষ্য শাবকের ক্ষেত্রে। কোনটিতে সমস্যা হচ্ছে, কখন কী খাওয়াতে হবে, জানতে হয়। নেটপ্রভাবী পশুরোগ চিকিৎসক আমির আনোয়ারি সমাজমাধ্যমে সতর্ক করছেন তিন বিষয় নিয়ে, যা ক্ষেত্র বিশেষে বিড়াল শাবকের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
শুকনো খাবার
বিড়াল বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই তাকে শুকনো খাবার দেওয়া শুরু করেন, বলছেন চিকিৎসক। বিড়ালের জন্য পাওয়া যায় এমন অনেক খাবারই। চিকিৎসক সতর্ক করছেন, শুধু শুকনো খাবার তাদের খাওয়ানো মোটেই সঠিক কাজ নয়। কারণ, শরীরে জল কম গেলে কিডনি এবং ব্লাডারে সমস্যা হতে পারে। এমন ধরনের অসুখ নিয়ে পোষ্যের অভিভাবকেরা তাঁর কাছে আসেন বলে জানাচ্ছেন পশুরোগ চিকিৎসক। শুধুমাত্র শুকনো খাবারের উপর নির্ভর করলে বিড়ালের শরীরে জলশূন্যতাও দেখা দিতে পারে। কারণ, বিড়াল এমনিতে জল খেতে চায় না। চিকিৎসক বলছেন, ‘‘বিড়ালের শরীরের প্রয়োজনীয় ৮০ শতাংশ জলই আসে খাবার থেকে। তাই সুস্থ রাখার জন্য ছোট থেকেই তরল খাবার ডায়েটে রাখা জরুরি।’’
মনোযোগের অভাব
বিড়াল নিজের মতোই থাকতে পছন্দ করে, দিনের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। একেবারে ছোট অবস্থায় তার দিকে বাড়ির সকলের নজর থাকলেও, বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনোযোগ কমতে থাকে বহু বাড়িতেই। অনেক বাড়িতেই বাড়ির সদস্যেরা কাজের জন্য বেরিয়ে গেলে একেবারেই একা হয়ে যায় মার্জার শাবক। তবে সর্ব ক্ষণ নজরদারি তাদের অপছন্দ হলেও, মনিবের সঙ্গ তারাও চায়। না হলে বিড়াল মনমরা হয়ে পড়তে পারে।
খাদ্যাভ্যাসে বড় বদল
আচমকা খাবারের অভ্যাস বদল করাতে গেলেও বিপদ হতে পারে। বয়স অনুযায়ী কোন খাবার কতটা দিতে হবে, পশুরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই তা খাওয়ানো দরকার। হঠাৎ করে বিড়ালের খাবারের তালিকায় বেশ বড়সড় বদল আনলে হজমের সমস্যা হতে পারে। বমি করতে পারে বিড়াল। সে কারণে খাদ্যাভ্যাসে বদল ঘটাতে গেলেও তা ধীরেসুস্থে করা দরকার।