Relationship Tips

বন্ধু হয়ে আবার জীবনে ফিরতে চাইছেন প্রাক্তন? জটিলতা এড়াতে কী করবেন আর কী করবেন না?

প্রাক্তনকে দেখলে অনেকের মধ্যেই মুহূর্তে পুরনো স্মৃতি, লুকিয়ে রাখা ক্ষোভ, নানা অনুভূতি, আবেগ মাথাচাড়া দেয়। সে সবের হাত ধরেই আসে জটিলতা। প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হলে কোন কথাগুলি মাথায় রাখবেন?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০২৩ ১১:০৮
Share:

(বাঁ দিকে) রণবীর কপূর-দীপিকা পাড়ুকোন, হৃতিক রোশন-সুজ়েন খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

জীবনে একাধিক বার প্রেমে পড়েছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। কিছু সম্পর্ক বহু বছর টিকে যেতে পারে, কিছু সম্পর্ক আবার মাসের গণ্ডি পেরোয় না। একজন মানুষকে চেনা, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়া, নিজের ভাল-খারাপ সবটুকু তাঁর সামনে মেলে ধরা, গভীর ভাব বিনিময়, তার পর হঠাৎই কোনও এক কারণে ছন্দপতন। এক দিন সকালে উঠে সেই ভালবাসার মানুষটিকে আর ‘নিজের’ বলা যায় না, মনের মধ্যে চলতে পারে অদ্ভুত টানাপড়েন— এমন পরিস্থিতিতে কখনও না কখনও পড়েছেন কমবেশি সকলেই।

Advertisement

কিছু কিছু ক্ষত সারা জীবন থেকে যায়, আবার কিছু ক্ষত হালকা হয়ে এলেও মাঝেমধ্যেই নিজের অস্তিত্ব জানান দেয়। খারাপ লাগা, মন কষাকষি কাটিয়ে অনেক সময় প্রাক্তন আবার ফিরে আসেন বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে। বলিউডে এমন উদাহরণ প্রচুর। আমির খান-কিরণ রাও কিংবা হৃতিক রোশন-সুজান খান কিংবা রণবীর কপূর-দীপিকা পাড়ুকোন— এক সময় সকলের মধ্যেই গভীর প্রেম থাকলেও এখন তাঁরা শুধুই বন্ধু।

কেবল মাত্র বন্ধুত্ব রাখার ক্ষেত্রেই নয়, অনেক সময় প্রাক্তন প্রেমিক বা প্রেমিকার সঙ্গে নানা ধরনের কাজের কারণেও যোগাযোগ রাখতে হয়। প্রাক্তনকে দেখলে অনেকের মধ্যেই মুহূর্তে পুরনো স্মৃতি, লুকিয়ে রাখা ক্ষোভ, নানা অনুভূতি, আবেগ মাথাচাড়া দেয়। সে সবের হাত ধরেই আসে জটিলতা। নতুন করে অপমানিত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। আবার নিজের সম্মান বজায় রেখে প্রাক্তনের সঙ্গে সুন্দর একটা বন্ধুত্ব বা যোগাযোগ রাখতে পারেন অনেকেই। তবে তার জন্য মাথায় রাখতে হবে বিশেষ কিছু বিষয়। দেখে নিন সে সব।

Advertisement

আমির খান-কিরণ রাও। ছবি: সংগৃহীত।

বর্তমান নিয়ে আলোচনা কম: কখনও আবেগ বা কখনও দেখনদারির কারণে অনেকে প্রাক্তন সঙ্গীকে দেখলেই তাঁর বর্তমান সুখ, আনন্দ এ সব নিয়ে কথা শোনাতে ব্যস্ত থাকেন। কেউ আবার প্রাক্তনের বর্তমান প্রেম নিয়েও অতিরিক্ত কৌতূহল দেখিয়ে ফেলেন। বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সবার আগে এই স্বভাব ত্যাগ করুন। সম্পর্ক শেষ হয়েছে আবেগ আর কাজ করেনি বলেই। সুতরাং প্রাক্তন সঙ্গী আপনার সব কিছু খুব সহানুভূতির চোখে দেখবেন, এমন আশা না করাই ভাল। আবার তা দেখলেও যে সারা ক্ষণ যে সেই সুযোগ নিয়ে যেতে হবে, এটাও কোনও কাজের কথা নয়।

পুরনো কাসুন্দি আর ঘাঁটবেন না: কেন আপনাদের সম্পর্ক টিকল না, কে ভুল ছিলেন আর কে ভুল নন— এ সব নিয়ে আর তর্কে না যাওয়াই ভাল। বরং দেখা হলে স্বাভাবিক থাকুন। খুব বেশি পুরনো স্মৃতি ঘাঁটতে বসলে মনে হবে, আপনি সেই মুহূর্তগুলি থেকে বেরিয়ে আসতেই পারেননি। এমনকি, সেই মানুষটিকেও ভুলতে পারেননি। তাই বন্ধুত্ব বজার রাখতে হলে আগে অতীত থেকে সরে আসুন।

বেশি যোগাযোগ নয়: বন্ধুত্ব বা কাজের সম্পর্কটুকু রাখতে গেলে কিছুটা সামাজিকতাও রাখতে হয়। তাই, যোগাযোগ না রেখে চলা মুশকিল। কিন্তু পরিমিতিবোধকে বিসর্জন দেবেন না। যতটুকু যোগাযোগ দু’জনের পক্ষেই সম্মানের, ততটুকুই বজায় রাখুন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন