বর্ষায় বিড়ালের যত্ন নেবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
জানলা দিয়ে মেঘলা আকাশ, রিমঝিম বৃষ্টি, মৃদু সুর আর গরম এক কাপ চা— আপনার পছন্দ। কিন্তু আদরের মার্জারের কাছেও কি তা-ই? গরম দাপট কমলেও ক্রমাগত বৃষ্টির স্যাঁতসেতে আবহে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ বাড়ে। যার প্রভাব পড়তে পারে বিড়ালের স্বাস্থ্যেও। মেঘলা দিনে মার্জারও অলস যাপনেই সুখ খোঁজে। ঘরের ভিতরে আড়াল চায়। অতিরিক্ত শব্দেও ঘোরতর আপত্তি তাদের। এমন মরসুমে কী ভাবে আগলে রাখবেন আদরের পোষ্যকে?
বিড়ালের ঘর
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বাইরে ঘুরঘুর করার সুযোগ থাকলেও, বর্ষায় তা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ফাঁক পেলে যদি সে বেরিয়েও পড়ে, ঠান্ডা লেগে অসুখও হতে পারে। মেঘলা দিনে একটু বেশি ঘুম পায় মানুষের। মার্জারও ব্যতিক্রম নয়। তা ছাড়া ঘন ঘন বজ্রপাতের শব্দ, ভ্যাপসা বা স্যাঁতসেতে গন্ধ, ভিজে মেঝে— এই সবই বিড়ালের অপছন্দের তালিকায় থাকে। সে কারণে বাড়ির এমন কোনও স্থান যেখানে চট করে আওয়াজ আসে না সেই জায়গায় বিড়ালের জন্য উষ্ণ-আরামদায়ক বিছানা করে দিতে পারেন। বিড়াল আড়াল পছন্দ করে। কোনও ব়ড় বাক্সের ভিতরেও তার বিশ্রামের জায়গা তৈরি করতে পারেন।
যত্ন
বিড়ালের লোম ভিজে গেলে তোয়ালে দিয়ে মুছলেও চট করে শুকোয় না। ভিজে লোমে যেমন দুর্গন্ধ হতে পারে, তেমনই পোকার আক্রমণ হতে পারে। আবহাওয়াজনিত কারণে এই সময় কোনও কোনও বিড়ালের লোম ওঠার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। নিয়মিত তার খেয়াল রাখলে, লোম আঁচড়ালে চট করে এঁটুলি বাসা বাঁধতে পারবে না। যদি বাঁধেও, তা দ্রুত চোখে পড়বে। চিকিৎসা করা সহজ হবে।
থাবা পরিষ্কার
বর্ষার দিনে যদি বারান্দাতেও ঘোরাঘুরি করে পোষ্য, পায়ের পাতা ভিজে যেতে পারে। বাইরে বেরিয়ে পড়লে গা-ও নোংরা হতে পারে। ভিজে জায়গা থেকে ঘুরে এলে দ্রুত তার থাবা বা পা মুছিয়ে দিন। এতে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকিও কমবে।
পুষ্টি
সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টি দরকার। বর্ষার জোলো হাওয়ায় ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হতে পারে। জল থেকে পেটখারাপও হতে পারে। সুস্থ থাকার জন্য সঠিক পুষ্টি দরকার। প্রাণিজ প্রোটিন বিড়ালের জন্য জরুরি। মার্জারের ওজনের উপর নির্ভর করবে কতটা খাবার তাকে দিতে হবে। পোষ্য যদি ক্যাটফুড খায়, সতর্ক থাকতে হবে, সেটি যেন মিইয়ে না যায়। কৌটোয় সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করলে খাবার মিইয়ে যেতে পারে। খাবার মনমতো না হলে বিড়াল মুখে তুলবে না।
মন ভাল রাখা
বিড়াল এমনিতে নিজের মতো থাকতেই ভালবাকসে। তবে যদি ক্রমাগত বৃষ্টিতে তার বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, খেয়াল রাখতে হবে মনেরও। যদি বাড়ির লোকের সঙ্গে খেলাধুলো সে পছন্দ করে, সেই ব্যাপারে তাকে উৎসাহ দেওয়া যেতে পারে। মার্জারের জন্য নির্দিষ্ট খেলনা তাকে দিতে পারেন।