Pets

পেট ভরাতে নয়, মন ভরাতে পুষতে পারেন এই চিংড়ি

এটা একেবারেই অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার মতো ছোট মাপের চিংড়ি। দৈর্ঘ্যে খুব বেশি হলে দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২১ ১৯:১৪
Share:

শ্যাওলা খেয়েই পেট ভরিয়ে ফেলে এই চিংড়ি। ছবি: সংগৃহীত

আপনার বাড়ির খুদে সদস্যটি অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য বায়না করছে? কিন্তু আপনি কিছুতেই রাজি নন। একে তো অনেকটা জায়গা লাগবে, তার উপরে আবার হাঙ্গামা। এর মধ্যে আছে মাছের খাবার দাও, জল পাল্টাও— বিষয়টা বেশ ঝামেলার। কিন্তু একটা সহজ উপায় আছে। তাতে আপনার সমস্যাও বাড়বে না, আর বাড়ির খুদেটার শখও কিছুটা মিটবে। এই সমাধানের নাম চিংড়ি। বা ‘শ্রিম্প’।

Advertisement

চিংড়ি শুনেই ভাববেন না, বাগদা বা গলদা। এটাও ভাববেন না, বাজার থেকে জ্যান্ত চিংড়ি নিয়ে এসে বাড়িতে রাখবেন। এটা একেবারেই অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার মতো ছোট মাপের চিংড়ি। দৈর্ঘ্যে খুব বেশি হলে দেড় থেকে ২ সেন্টিমিটার। রাখার জন্যও বিরাট আয়োজনের দরকার নেই। ছোট একটা কাচের বয়ম বা গোল অ্যাকোয়ারিয়ামই যথেষ্ট।

উত্তর কলকাতায় দীর্ঘ দিন রঙিন মাচের ব্যবসা করছেন সৌরভ মুন্সী। তাঁর কথায়, ‘‘এখন মাছের পাশাপাশি, বাড়িতে চিংড়ি রাখার আগ্রহ বাড়ছে। খাবার নিয়ে সমস্যা নেই। একটা ছোট পাত্রে ৩-৪ জোড়া অ্যাকোয়ারিয়াম শ্রিম্প রাখলে দ্রুত বংশবৃদ্ধি করে।’’ আর এক রঙিন মাছের বিক্রেতা বিভূতি সাহার মতে, ‘‘রকমারি রঙের এই চিংড়ি পাওয়া যায়। বিদেশি তো বটেই দেশের নদী-নালায় পাওয়া যায়— এমন ছোট শ্রিম্পের রংও দারুণ।’’

Advertisement

হালে রঙিন মাছের দোকানে চাহিদা বেড়েছে এই রঙিন চিংড়ির। ‘রেড চেরি’, ‘অ্যামানো’, ‘ক্রিস্টাল রেড’— নানা জাতের অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার মতো চিংড়ি পাওয়া যায় এখন কলকাতায়। ‘‘নিয়মিত জল পরিবর্তনের ঝক্কি নেই। মাসে এক বার ১০ থেকে ২০ শতাংশ জল তুলে ফেলে দিলেই হল। খাবার বলতে, রঙিন মাছের সস্তার খাবার দিলেই হয়ে যায়। তা ছাড়া, কাচের দেওয়ালে জমা শ্যাওলাও ওরা খেয়ে নেয়’’, বলছেন সৌরভ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন