এসি-র প্রভাবে অসুখও হানা দেয় শরীরে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রবল নিম্নচাপ, সারা দিন ঘ্যানঘেনে বৃষ্টির পরও বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে গরম অব্যাহত এখনও। শীতের সামান্য সময়টুকু বাদ দিলে, ঘাম আর অস্বস্তিকর গরম আমাদের ভোগায় প্রায় সারা বছর। আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনার জন্য গত পাঁচ বছরে এসি বিক্রির পরিমাণও বেড়েছে দেদার।
বর্ষাকালের ভ্যাপসা গরম থেকে বাঁচতে এসি-র দ্বারস্থ হতে হচ্ছে, এ দিকে সারা দিন এসি চালিয়ে রাখায় চাপ পড়ছে পকেটে। সঙ্গে ঠান্ডা লেগে বাড়ছে সর্দি-কাশির সমস্যা। এসি-র হাওয়ায় মোটা হয়ে যাওয়াও এই জীবনের এক অন্যতম সমস্যা। তা হলে উপায়?
গরমের হাত থেকে সামান্য নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায়ও যদি জানা যেত, তবে ফি মাসে ইলেক্ট্রিক বিলের অঙ্ক নিয়ে চিন্তা দূর হত। কিন্তু সে আর হয় কই! গরমের দাপটে প্রায় প্রতি দিনই চালাতে হচ্ছে এসি। কিন্তু এমন কিছু ঘরোয়া উপায় আছে, যা মানলে এসি ছাড়াই আপনার ঘর থাকবে ঠান্ডা। সে সব সহজ উপায় দেখে নিন ঝলকে।
আরও পড়ুন: একটু অন্য রকম ভাবে বেড়াতে যেতে চান? এই হোটেলগুলি তা হলে আপনার জন্য
ফ্রিজে ডিম রাখেন? কী ভুল করছেন জানেন?
পুরনো আমলের মানুষরা খসের পর্দা ব্যবহার করতেন। ঘর-বাড়ি ঠান্ডা রাখতে, রোদের তাপ থেকে ঘরের ভিতরকে বাঁচাতে আজও কিন্তু এর কোনও বিকল্প নেই। বাজার থেকে কিনে আনুন খসের পরদা। জানালায় টাঙিয়ে রাখুন। মাঝেমধ্যেই তাকে জল ছিটিয়ে ভিজিয়ে নিন। ঘর থাকবে অনেক ঠান্ডা ও আরামদায়ক।
ঘরের মধ্যে রাখতে পারেন ছোট টবে রাখা সবুজ বাহারি গাছ। এতে ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে, সঙ্গে গাছের উপস্থিতিতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। দরকার না থাকলে বেশি ক্ষমতাযুক্ত আলো জ্বালাবেন না ঘরে। বরং, কম ক্ষমতাসম্পন্ন বাল্ব্ জ্বালিয়ে রাখতে পারেন। টিউব বা বাল্বের গা থেকে তাপ বিকিরণের ফলেও ঘর কিছুটা গরম হয়। ঘরে ব্যবহার করুন হালকা রঙের পর্দা। হালকা রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা কম। তাই হালকা রঙের পর্দায় বাইরের তাপ কম শোষিত হয়। ঘরের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করে হালকা রঙের পর্দা। ঘর মোছেন যখন, তখন ঘর মোছার জীবাণুনাশক তরলের সঙ্গে সামান্য নুন মিশিয়ে নিন। নুনজল তাপের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে মেঝে থেকে উঠে আসা গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।